নিজস্ব প্রতিবেদক:: মাঠের পারফরম্যান্সে শুরুর প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে বিপিএল। মাঠ ও মাঠের বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে । মাঠের বাইরে টিকিটের জন্য লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়েছেন দর্শকেরা। স্টেডিয়ামের গেইট ভেঙেছেন, টিকিট বিক্রির বুথে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন।
ময়দানি লড়াইয়েও দারুণ জমেছে বিপিএল। অন্তত প্রথম পর্বে ঢাকায় জমজমাট লড়াই হয়েছে। এরই মধ্যে দু’টি সেঞ্চুরি দেখেছে বিপিএল। সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা।
লঙ্কান ক্রিকেটার থিসারার পাশাপাশি সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানী ক্রিকেটার উসমান খান। একাদশতম বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। প্রতিটি বিপিএলেই সমালোচনা হতো উইকেট নিয়ে। চার-ছক্কার বিপিএলে যে রানেরই দেখা মিলতো না। বিশেষ করে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। লো স্কোরিং ম্যাচগুলো নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি বিপিএলের আগের আসরগুলোত।
এবারের বিপিএল সেই প্রত্যাশা মিটিয়েছে। প্রতিটি ম্যাচেই রান উঠেছে। দুই সেঞ্চুরির পাশাপাশি ঢাকায় প্রথম পর্বে দুইশোউর্ধ্ব ইনিংসও এসেছে বেশ কয়েকটি। ঢাকায় প্রথম পর্বে আটটি ম্যাচ হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচের এক ইনিংসে দুইশোর বেশি করে রান।
বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী আগে ব্যাট করে ১৯৭ রান তুলেছিলো। জবাবে বরিশাল ২০০ রান করেই ম্যাচ জিতেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্স ছয় উইকেটে ১৯১ রান তুলেছিলো। ঢাকা ক্যাপিটালস ১৫১ রান করে ৪০ রানে ম্যাচ হারে। তৃতীয় ম্যাচে খুলনার মুখোমুখি হয় চিটাগাং। আগে ব্যাট করে খুলনা টাইগার ২০৩ রান তুলেছিলো। চিটাগাং কিংস ১৬৬ রান তুলে।
বিপিএলের চতুর্থ ম্যাচে রংপুরের মুখোমুখি হয় সিলেট। আগে ব্যাট করা রংপুর ১৫৫ রান তুলে ৫ উইকেটে। জবাবে সিলেট ১২১ রানে থামে। পঞ্চম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটাল দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ১৭৪ রান করেও জিততে পারেনি। ষষ্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয় বরিশাল ও রংপুর। ম্যাচটি লো স্কোরিং হয়। বরিশাল ১২৪ রান করে। রংপুর দুই উইকেটে ম্যাচ জিতে যায়।
ঢাকায় বিপিএলের প্রথম পর্বে রান উঠেছে। আগের সেই সমালােচনা এবার তাই হয়নি। চার-ছক্কার বিপিএলে চার ছক্কাও হয়েছে প্রচুর। ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে রান হচ্ছে সেটাই বিপিএলের সবচেয়ে বড় স্বস্তি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০