নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পূর্বাচলের প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের অধীনে আজ মিরপুরে বোর্ডের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত আসে। এছাড়া স্টেডিয়ামের নাম ও নৌকার আদলে গড়া নকশা বদলে যাবে, বিসিবির আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে নিয়োগ দেওয়া হবে নামী অডিট ফার্ম।
বিসিবি সভাপতি জানান, ‘আমাদের যে টেন্ডার প্রসেস ছিল, পূর্বাচলে যে স্টেডিয়াম হওয়ার কথা, টেন্ডার প্রসেসের শেষ দিন ছিল কালকে। এটা বাতিল করেছি আমরা সর্বসম্মতিক্রমে। বাতিল হয়েছে কারণ, আপনারা জানেন এত বড় প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে। ওখান থেকে আমরা খুব বেশি; হ্যাঁ বা না, কোনোটিই পাইনি! আর যেহেতু সময় নেই, আহামীকালই শেষ দিন, এজন্য আমাদের এটা করতে হতো (বাতিল)। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, যদি আমরা মনে করি, রিভাইজ করে কিছু করা যায় কি না, তাহলে আমরা চেষ্টা করব নতুন করে কিছু করার জন্য।’
এদিকে ফারুক পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসানের বোর্ডে কিছু দুর্নীতি হয়েছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি বলেন, ‘এই মাঠ আমরা সবাই মিলে দেখতে যাচ্ছি। কারণ যে টাকাটা খরচ হয়েছে। পুরোনো শতভাগ তো পাওয়া যাবে না, কারণ প্রকল্প অনেক বড় ছিল। ওখান থেকে আমরা ছোট করে… যতটাকা খরচ হয়েছে, কিছু যদি আমরা রিকভারি করতে পারি। ধরুন, খেলার দুটো মাঠ যদি আমরা করতে পারি মূল নকশা ঠিক করে, সেই চেষ্টা করব। কনসালটেন্সি ফার্মকে কিছু টাকা যে দেওয়া হয়েছে, ওখান থেকে যাতে আমরা কিছু রিটার্ন পাই আর কী। আমরা একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট অডিট ফার্ম খুব শিগগিরই দেব (নিয়োগ)। শীর্ষ চার ফার্মের মধ্যে একটি, তারা অডিট করবে। দুর্নীতি যদি হয়, তাহলে নিশ্চয়ই দুর্নীতি দমন কমিশন সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। তবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, দুর্নীতি হয়েছে কি না, বা কতটুকু বা কী মাত্রায় হয়েছে, এটা খুঁজে বের করা।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০