নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নাটুকে এক ম্যাচ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। শেষের রোমাঞ্চে ম্যাচটি অবশ্য জিতেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুক্রবার টাইগারদের জয় ২ উইকেটে। শেষ ওভারে ৬ রান লাগত স্বাগতিকদের জয়ের জন্য। সেই ওভারে অনায়াস জেতার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের দলের। কিন্তু আফগান পেসার করিম জানাত করে বসেন হ্যাটট্রিক। মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদকে আউট করেন তিনি।
শেষ ২ বল থাকতে উইকেটে আসেন শরিফুল ইসলাম। করিমের বলে অফ সাইডে কাট করে চার হাঁকান এই ব্যাটার। স্বস্তির জয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। সিলেটের মাঠে এই প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। এখন পর্যন্ত তিন টি-টোয়েন্টি খেলে প্রথমবার জয়ের উৎসব করেছে সাকিবের দল। আর আফগানদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে ১০ ম্যাচ খেলে চতুর্থ জয় এটি তাদের। শামীম পাটোয়ারি করেন ৩৩ রান। সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৫ রানে রনি তালুকদারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে ৪ রান করে রনি বোল্ড হন ফজলহক ফারুকির বলে। এরপর লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে ২৫ রান যোগ করার পর মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হন শান্ত। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল শান্তর গায়ে লেগে তাঁর উইকেট ভেঙে দেয়।
ভরসার পাত্র হতে পারেন নি লিটন। আজও হাসেনি তার ব্যাট। ১৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে আজমতউল্লাহর শিকারে পরিণত হন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির পর সাকিব আক্রমণ শুরু করেন আফগান বোলারদের ওপর দিয়ে। তবে বেশিক্ষণ সেই ধারা চলেনি। ফরিদ আহমেদের বলে সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৭ বলে ৩ চারে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার করেন ১৯ রান।
এরপর বাংলাদেশকে টেনেছেন হৃদয় ও শামীম। তারা দুজনে মিলে যোগ গুরুত্বপূর্ণ ৭৩ রান। রশিদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফিরে যান ৩৩ রান করা শামীম। ২৫ বলে ৪ চারে এই ইনিংস সাজান তিনি। তবে হৃদয় ও মিরাজের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে রোমাঞ্চ জাগান করিম। তবে চার মেরে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল।
এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মোহাম্মদ নবি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে। বাকিদের মধ্যে নাজিবউল্লাহ জাদরান ২৩ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৬ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট পান নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০