নিজস্ব প্রতিবেদক:: শেষ ওভারে মাত্র ১২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারলো না খুলনা টাইগার্স। পাকিস্তানের নওয়াজ, ইমরুল কায়েস, আবু হায়দার রনিদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত রংপুরের কাছে ৮ রানে হারতে হলো খুলনা টাইগার্সকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা রংপুর রাইডার্স দুই পাকিস্তানী খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমদের ব্যাটে ১৮৬ রান তুলেছিলো। জবাবে খেলতে নামা খুলনা টাইগার্স শেষ ওভারে গিয়ে থেমেছে ১৭৮ রানে। ৮ রানের দারুণ এক জয় পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
১৮৭ রানের লক্ষ্যে নেমে জুতসই শুরুর আভাস দিয়ে নিভেছেন দারবিশ রাসুলি। ১৫ বলে ১৭ রান করে তিনি বোল্ড হন আকিফ জাভেদের বলে।
দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম শেখের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন মেহেদী আসান মিরাজ। জুটির পথে দুজনেই পেয়েছেন একাধিক জীবন। অধিনায়ক মিরাজ ২৪ বলে ৩৯ করে শেষ পর্যন্ত আউট হন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে।
নাঈম টিকে রান বাড়াচ্ছিলেন, দলের সমীকরণ সহজ হচ্ছিলো তার ব্যাটে। তবে এই বাঁহাতি ফিফটি পেরিয়ে অসময়ে থামান দৌঁড়। শেখ মেহেদীর সোজা বলে বোলারের হাতেই তুলে দেন ক্যাচ। ৪১ বলে ৭ চার, ২ ছক্কায় ফেরেন ৫৮ রান করে। এরপর আফিফ দলকে রেখেছিলেন জেতার পথে, কিন্তু শেষ দিকে সমীকরণ আচমকা ধসে মেলাতে পারেনি তারা।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তারা হারায় দুই উইকেট। তবে ওপেনার তৌফিক খান তুষার এক পাশে টিকেছিলেন, খুব বেশি আগ্রাসী হতে পারেননি এই ডানহাতি। ৩০ বলে ৩৬ করে তিনি যখন উট হন তখন পেরিয়ে গেছে দশ ওভার, স্কোর বোর্ডে কেবল ৭০ রান।
ওই পরিস্থিতিতে রানের চাকায় গতি আনেন দুই পাকিস্তানি ইফতেখার ও খুশদিল। নাসুম আহমেদকে টানা চার ছক্কায় রান বাড়ান খুশদিল।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১১৫ রান। একদম শেষ ওভারে গিয়ে ভাঙে ওই জুটি। ইফতেখার ৩৬ বলে করেন ৪৩ রান। মাত্র ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৬ ছক্কায় ৭৩ করেন খুশদিল। তিনিই হন ম্যাচ সেরা।