স্পোর্টস ডেস্কঃ চলমান ফুটবল বিশ্বকাপে অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলো ভালো করছে। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে এশিয়ার দেশগুলো ভালো করছে। সেই ধারা এবার ধরে রাখলো ইরান। ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে দলটি। সেটাও আবার ম্যাচের যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মূহুর্তে। দুটি গোল হয়েছে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে। মূলত ৮৬তম মিনিটে ওয়েলস গোলরক্ষক হেনেসির লাল কার্ড দেখার ফায়দা তুলেছে ইরান।
যদিও পুরো ম্যাচজুড়েই দারুণ ছিল ইরানের পারফম্যান্স। বল দখলে ম্যাচটা ওয়েলস নিয়ন্ত্রণ করলেও, আক্রমণে এগিয়ে ছিল ইরান। ওয়েলসের রক্ষণে কাঁপন ধরে। তবে ম্যাচ এগোচ্ছিল ড্র’য়ের পথে। কেননা গোল করতে পারছিল না কোনো দলই। আরও একটি গোলশূন্য ড্র ম্যাচ দেখার প্রহর গুণছিল সমর্থকরা।
তবে একেবারে শেষ দিকে এসে সবাইকে চমকে দিল ইরান। নির্ধারিত সময় শেষে ৯ মিনিট দেওয়া হয়। যোগ করা এই সময়ের ৮ মিনিটের মাথায় গোল করে বসেন ডিফেন্ডার রোজবেহ চেশমি। ৭৮তম মিনিটে বদলি ফুটবলার হিসেবে নেমেছিলেন তিনি মাঠে। দারুণ গোল করে ম্যাচের হাওয়া পাল্টে দেন। এই গোলেই জয়ের নেশায় বূদ হচ্ছিল ইরান।
মূহুর্তের মাঝেই ওয়েলসের আক্রমণ সামলে পাল্টা কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আরও এক গোল করে বসে ইরান। যোগ করা সময়ের ১১তম মিনিটের মাথায় ওয়েলসের জালে পেরেক ঠুকে দেওয়ার কাজটি করেন রামিন রেজাইয়ান। শেষ মূহুর্তের এই দুই গোলেই ওয়েলসকে হারের লজ্জা দেয় ইরান।
অবশ্য এর পেছনে দায় আছে ওয়েলসের। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় তারা। গোলরক্ষক হেনেসি বল ঠেকাতে গিয়ে ইরানের স্ট্রাইকার তেরেমিকে লাথি মেরে বসেন। প্রথমে রেফারি হলুদ কার্ড দিলেও, পরবর্তীতে ভিএআরের কল্যাণে সেটি লাল কার্ড দেখান রেফারি। এতে করে হেনেসিকে মাঠ ছাড়তে। এরপর ডিফেন্ডার অ্যারন রামসিকে বসিয়ে তোলা হয় গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ডকে। এই দশ জনের দলে পরিণত হওয়ার ফায়দা ভালোভাবেই শেষ মূহুর্তে তুলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইরান।
আহম্মদ আলি বিন স্টেডিয়ামে এদিন নিষ্প্রভ ছিলেন ওয়েলস অধিনায়ক গ্যারেথ বেল। তার দল ম্যাচের ৬২ শতাংশ বল দখলে রাখলেও, ১০টি শট নিতে পারে কেবল প্রতিপক্ষের অর্ধে। এর মধ্যে গোলবারে রাখতে পারে ৩টি। অপরদিকে ৩৮ শতাংশ বল দখলে রাখা ইরান ২১টি শট নেয় সব মিলিয়ে। এর মধ্যে ৬টি রাখতে পারে গোলবারে। যার মধ্যে আবার ২টি গোল হয়েছে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা