স্পোর্টস ডেস্কঃ অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ আহমেদাবাদে। শেষ ওভারে ২৯ রানের সমীকরণ মেলালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিংকু সিং। শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আইপিএলে রোববার রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের স্বাক্ষী হয়েছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। স্বাগতিক দর্শকদের হৃদয় ভেঙে কলকাতাকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন রিংকু।
শেষ ওভারে জিততে কলকাতার দরকার ২৯ রান। যশ দয়ালের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে উমেশ যাদব এক রান নিলে স্ট্রাইক পান রিংকু। ৫ বলে তখন সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ২৮ লাগে জিততে। পরের পাঁচ বলে দয়ালকে টানা পাঁচ ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২১ বলে ৪৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করে গুজরাট পায় ২০৪ রানের পুঁজি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রশিদ খানের বোলিং তোপে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় কলকাতা। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন ও শার্দুল ঠাকুরকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন গুজরাটের অধিনায়ক রশিদ। ১৭তম ওভারে ম্য়াচ ঘুরিয়ে দেওয়া বোলিং করেন তিনি। সেই ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন এই আফগান তারকা।
ম্যাচের সব আলো সেই একবার কেড়ে নিয়েছিলেন রশিদ। তাতে জয়ের সুবাতাস বইছিল গুজরাট শিবিরে। কিন্তু শেষ ওভার রোমাঞ্চে ম্যাচ নিজের করে নিলেন রিংকু। তাঁর পাগলাটে ওই ব্যাটিংয়ে আসরে কলকাতাকে দ্বিতীয় জয় এনে দিলেন। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল নিতিশ রানার দল।
গুজরাট নিজেদের মাঠে আগে ব্যাট করে ২০৪ রানের সংগ্রহ পায়। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথমবার দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ এটি তাদের। ঝড়ো ব্যাটিং করেছে সাই সুদর্শন-বিজয় শঙ্কর। দুজনের ফিফটিতে পাহাড়সম এই পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। নিয়মিত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া খেলতে নামা গুজরাট শুরুটা পায় দুর্দান্ত। ঋদ্ধিমান সাহা-শুভমান গিল ৩১ রানের প্রথম উইকেট জুটি গড়েন।
১৭ বলে ১৭ রান করে আউট হন সাহা। এরপর সুদর্শনকে নিয়ে জুটি গড়েন গিল। ৩১ বলে ৩৯ রান করেন এই ওপেনার। অভিনাভ মনোহর ৮ বলে করে ১৪ রান। ৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন সুদর্শন। ৩ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বিজয়। মাত্র ২১ ফিফটি করা এই ব্যাটার ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৫ ছক্কা ও ৪ চার হাঁকান তিনি। এর মধ্যে শেষ ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে তিনি ৩ ছক্কা মারেন। কলকাতার হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন সুনিল নারাইন।
২০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পায়নি কলকাতা। তারা শুরুতেই হারায় ওপেনার নারায়ণ জগদিসানকে। এরপর রহমানউল্লাহ গুরবাজকে নিয়ে কলকাতার ইনিংস টানছিলেন ভেঙ্কাটেস আইয়ার। যদিও গুরবাজ ১৫ রান করে ফিরে গেলে আবারও শঙ্কায় পড়ে কলকাতা। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নীতিশ রানাকে নিয়ে একশ রানের জুটি গড়েন ভেঙ্কাটেস।
রানা আউট হয়েছেন ২৯ বলে ৪৫ রান করে। খানিক বাদে ভেঙ্কাটেস ৪০ বলে ৮৩ রান করে আউট হলে কলকাতার জয় নিয়ে শঙ্কা জাগে। এরপর রশিদের হ্যাট্রট্রিকে এলোমেলো হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস। কিন্তু শেষদিকে ২১ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে কলকাতাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রিংকু। রশিদের ৩ উইকেট ছাড়াও গুজরাটের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোসেফ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০