নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তর বারিধারা-ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠের লড়াইয়ে কেউ হয়তো কারো থেকে বেশি এগিয়ে নেই। পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পার্থক্য আছে। প্রথমার্ধে উত্তর বারিধারা ব্রাদার্সের সঙ্গে লড়াই করলেও পিছিয়ে পড়ে ১-০ গোলে। তবুও দলটি ফেরার লড়াই করছিলো। কিন্তুু এরই মধ্যে খবর এলো বারিধারার সংগঠক আবুল কালাম পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। কিছুটা ছন্নছাড়া বারিধারা হয়ে গেলো আরো ছন্না ছাড়া।
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই মধ্য বিরতিতে দলটি সোজা চলে গেলো ড্রেসিং রুমে। বিরতির পর নির্ধারিত সময়েই মাঠে নেমে পড়েন ব্রাদার্সের খেলোয়াড়, রেফারী জসিম উদ্দিন, সহকারী রেফারী হারুন উর রশিদ, প্রণব। কিন্তুু মাঠে নেই উত্তর বারিধারা। চতুর্থ রেফারী মোহাম্মদ শামিম কবির ছুটলের বারিধারার ড্রেসিংরুমে। তার অনুরোধে শোকাহত বারিধারার খেলোয়াড়রা এলেন মাঠে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বারিধারার কর্মকর্তা আবুল কালামের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হলো।
দলের সংগঠকের এমন আকস্মিক চলে যাওয়াতে যেনো ভেঙেই পড়লো বারিধারা। ব্রাদার্সের একের পর এক আক্রমণে শোকাহত বারিধারা ব্যস্ত কেবল রক্ষণ ভাগ নিয়েই। তারপরও দু’এক বার আক্রমণে গেলেও আসেনি সফলতা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বারিধারাকে।
ম্যাচের প্রর্থমার্ধের শেষ দিকে বাদ্রার্সকে এগিয়ে দেন আব্বাস। রাব্বির কর্ণার কিক থেকে পাওয়া বলে মাথা ছুঁয়ে বল পৌছে দেন বারিধারার জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাদ্রার্স ব্যবধান বাড়াতে পারতো। মন্নাফ রাব্বি সহজ গোল মিস করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটেই বাদ্রার্সের ওয়ালিসন দলেক এগিয়ে দেন ২-০ গোলে। তার দারুণ শটটি খুঁজে নেয় প্রতিপক্ষের গোলবার।
এর কিছুক্ষণ পরই একটি গোল পরিশোধ করে শোকাহত উত্তর বারিধারা। দ্বিতীয়ার্ধের ২৬ মিনিটে মামুন গোল করে ব্যবাধান কমান।
২৮ মিনিটে বারিধারার এক খেলোয়াড়ের আঘাতে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাদার্সের গোল রক্ষক উত্তম। তার বদলী হিসেবে মাঠে নামেন পিরু।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০