স্পোর্টস ডেস্ক:: আগামি ২০২৩ বিশ্বকাপ সরাসরি খেলার জন্য শতভাগ নিশ্চিত হতে আর মাত্র একটি জয়ের প্রয়োজন বাংলাদেশ। যদিও এখনো অনেটা নিশ্চিত টাইগারদের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা। তবুও শতভাগ নিশ্চিত হতে মাত্র একটি জয়েরই প্রয়োজন। পরিসংখ্যান বলছে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকা বাংলাদেশ সরাসরিই খেলবে বিশ্বকাপ।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে আজ শুরু হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি বিশ্বকাপের অংশ সুপার লিগের অন্তর্ভূক্ত নয়। সুপার লিগের উপরের ছয় দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে, স্বাগতিক ভারত ছাড়া। তিন ম্যাচ বাকী থাকা বাংলাদেশ দুইয়ে আছে। তাদের পয়েন্ট ১২০। একে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ১২৫।
আগামি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসির সুপার লিগের অন্তর্ভূক্ত। বাংলাদেশ সেই তিন ম্যাচের একটি ম্যাচ জিতলেই পয়েন্ট হয়ে যাবে ১৩০। তখন শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যাবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। টাইগারদের পেছনে থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে আর নেদারল্যান্ডস।
নিজেদের বাকী থাকা সবগুলো ম্যাচ জিতলেও এই দলগুলোর পয়েন্ট তখন বাংলাদেশের সমান হবে না। উইন্ডিজদের ২১ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ৮০। বাকী আছে তিন ম্যাচ। সেই তিনটি ম্যাচ জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে ১১০। ১৮ ম্যাচ খেলা শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৬২। বাকী থাকা ছয় ম্যাচের সবগুলো ম্যাচ জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে মাত্র ১২২।
১৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে থাকা আয়ারল্যান্ডের এখনো বাকী আছে ৬টি ম্যাচ। সবগুলো জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে মাত্র ১২২। ক্রিকেটের এক সময়ের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট মাত্র ৩৫। ম্যাচ খেলেছে দলটি। তাদের বাকী আছে নয় ম্যাচ। সবগুলো জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে ১২৫। নেদারল্যান্ডস ১৫ ম্যাচ খেলে মাত্র ২৫ পয়েন্ট তুলেছে। বাকী থাকা সবগুলো ম্যাচ খেললে মোটে মাত্র ১১৫ হবে তাদের পয়েন্ট। বাংলাদেশকে টপকে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এই দেশগুলোর।
তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ তাই সরাসরিই খেলবে আগামি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সুপার লিগের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ড ১৮ ম্যাচ খেলে জিতেছে ১২ ম্যাচ। তাদের পয়েন্ট ১২৫। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশও ১৮ ম্যাচ খেলে ১২টি ম্যাচ জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ১২০। তিনে থাকা আফগানিস্তান ১২ ম্যাচ খেলে ১০ ম্যাচ জিতেছে, তাদের পয়েন্ট ১০০।
সুপার লিগের চার নম্বরে আছে পাকিস্তান। ১৫ ম্যাচ খেলা দলটি জিতেছে ৯ ম্যাচ। তাদের পয়েন্ট ৯০। পাঁচে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২১ ম্যাচ খেলে ৮ ম্যাচ জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ৮০। ছয়ে থাকা ভারতের পয়েন্ট ৭৯। সরাসরি খেলা দলটি ১২ ম্যাচের ৮টি ম্যাচ জিতেছে। সাতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৭০। ১২ ম্যাচের সাতটি জিতেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
আট নম্বরে আছে আয়ারল্যান্ড। ১৮ ম্যাচের মাত্র ৬টি জিতেছে দলটি। তাদের পয়েন্ট ৬৮। নয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা ১৮ ম্যাচের মাত্র ৬টি ম্যাচ জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ৬২। দশে থাকা নিউজিল্যান্ড ছয় ম্যাচের সবগুলোই জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ৬০। এগারোতে থাকা সাউথ আফ্রিকা ১৩ ম্যাচের মাত্র ৪টি ম্যাচ জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ৪৯। বারোতে থাকা জিম্বাবুয়ে ১৫ ম্যাচের মাত্র তিনটা ম্যাচ জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ৩৫। সবার শেষে তেরো নম্বরে থাকা নেদারল্যান্ডস ১৬ ম্যাচের মাত্র দুইটি জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ২৫।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০