স্পোর্টস ডেস্কঃ পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজের উত্তেজনা জিইয়ে রাখল ইংল্যান্ড। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ রানে জিতেছিল স্বাগতিকরা। তৃতীয় ম্যাচ জিতলেই ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজও জেতা হয়ে যেতো তাদের। এমন সমীকরণ সামনে নিয়ে আগে ব্যাট করে বড় পুঁজি পায় রভমান পাওয়েলের দল। রান তাড়ায় শেষ ওভারে হ্যারি ব্রুক ঝড়ে ম্যাচ জিতে নেয় ইংলিশরা।
গ্রেনাডায় নিকোলাস পুরানের ৮২ রানের ইনিংসে উইন্ডিজ ২০ ওভারে তোলে ২২২ রান। ইংল্যান্ড সেই রান টপকে যায় ১ বল বাকি রেখে। টি–টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের এই সংস্করণে এটি যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। ২০২০ সালেও ইংলিশরা ২২৩ রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এর আগে ২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ ২৩০ রান তাড়া করে জিতেছিল ইংলিশরা। প্রতিপক্ষ ছিল সেই দক্ষিণ আফ্রিকা।
২২৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিতে ৯ ছক্কায় ৫৬ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফিল সল্ট। ৭ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসে শেষের কাজ সারেন ব্রুক। এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান তোলে উইন্ডিজ। সর্বোচ্চ ৮২ রান করে ওপেনার নিকোলাস পুরান। ৪৫ বলে ৬টি করে ছক্কা-চারে এই ইনিংস সাজান তিনি। এছাড়া অধিনায়ক পাওয়েল করেন ২১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রান। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পান আদিল রাশিদ ও স্যাম কারান এবং একটি করে উইকেট তোলেন মইন আলি ও রিস টপলি।
জবাবে সল্টের সেঞ্চুরি ছাড়া ৫১ রানের গোছানো একটি ইনিংস আসে অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাট থেকে। ৩৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সাজান এই ইনিংস। ১৮ বলে ৩০ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। ব্রুকের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫ বলেই উঠে যায় ২৪ রান- ৪, ৬, ৬, ২, ৬! দারুণ জয়ে ইংল্যান্ড টিকে যায় সিরিজে। বোলার রাসেল যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না! উইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান রাসেল, জেসন হোল্ডার ও গুদাকেশ। ম্যাচের সেরা হন সল্ট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post