নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হোয়াইটওয়াশের তেঁতো স্বাদ নিতে হলো না বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে সহজ জয় পেয়েছে টাইগাররা। মঙ্গলবার লিটন দাসের দল জিতেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এ জয়ে সিরিজের ফল দাঁড়াল ২-১। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে আফগানরা।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ ওয়ানডে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে বোলিং করতে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। পেসার শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে দিশেহারা আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের অভিষেক ফিফটিতে ১২৬ রান করতে পারে আফগানরা।
রান তাড়ায় শুরুতে নাঈম শেখকে হারালেও লিটনের ফিফটিতে বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ৬০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন টাইগার অধিনায়ক। এর আগে মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পায়নি স্বাগতিকরা। দলীয় ২ রানেই ওপেনার নাঈম শেখ ফিরেন ফজলহক ফারুকির বলে। আফগান পেসারের আউট সাইড অফের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন।
রানের খাতা খোলতে না পেরে বিদায় নেওয়া নাঈমের পর টিকতে পারেন নি আরেক বাঁহাতি নাজমুল হোসেন শান্তও। ফারুকির দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১১ রান। এরপর দলের হাল ধরেন লিটন ও সাকিব। এই দুজনে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৬১ রান। সাকিব ফেরার আগে করেন ৩৯ বলে ৫ চারে ৩৯ রান।
সাকিব ফিরলেও তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৭ বলে ফিফটি তুলে নেন লিটন। এই দুজনই বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। লিটন ৫৩ ও হৃদয় ২২ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। হৃদয়ের ইনিংসে ছিল ১ চারের মার। বল খেলেছেন ১৯টি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নেয় ১৫৯ বল বাকি রেখে। বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের হিসাবে এটি টাইগারদের পঞ্চম বৃহত্তম।
এর আগে শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে ৪৫.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৬ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। এছাড়া অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। বাকিরা টাইগারদের বোলিং তোপে টিকতেই পারেননি। শরিফুল ২১ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post