নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সুপার লিগে টানা দুই হার দেখেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ১৩ রানে হেরেছে মিঠুন-জাকিররা। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সের সাইফ হাসান।
এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে কাগজে-কলমে এখনও শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখলো শেখ জামাল। অপরদিকে ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট প্রাইম ব্যাংকের নামের পাশে।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রানের বড় পুঁজি পায় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। দলের পক্ষে ১০২ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৮৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ওপেনার সাইফ হাসান। ৪৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ফজলে রাব্বি ৩৬ ও তাইবুর রহমান ৩০ রান করেন।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে কাশিভ ভাট্টি একাই ৩ উইকেট শিকার করেন। শেখ মেহেদী, অলক কাপালি ও রেজাউর রহমান রাজা ১ উইকেট লাভ করেন।
২৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ ওভারে দলীয় ১০ রানের মধ্যে ওপেনার জাকির হাসান (৪) ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে (০) হারায় প্রাইম ব্যাংক। এরপর দুই তরুণ শাহদাত হোসেন দিপু ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ১৩৬ রানের দারুণ জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙে দিপুর বিদায়ে। এক রানের ব্যবধানেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাবিলও। তবে আম্পায়ার আউট না দিলেও, নিজে থেকেই মাঠ ছেড়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এই তরুণ।
জয়ের স্বপ্ন দেখা প্রাইম ব্যাংক এরপর আর ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই ২৬৩ রানে গুঁটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। ৯০ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন নাবিল। ৭৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬৬ রান করেন দিপু। এছাড়া ৩৬ রান আসে আল আমিন জুনিয়রের ব্যাট থেকে। নাসির, অলক কাপালিরা ব্যর্থ হন।
শেখ জামালের হয়ে শফিকুল ইসলাম ৩টি উইকেট শিকার করেন। পারভেজ রাসুল ও সাইফ হাসান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post