নিজস্ব প্রতিবেদক:: সাকিব আল হাসানের ইস্যুতে আলোচনা-সমালোচনায় দেশের ক্রিকেট। জাতীয় দলে খেলছেন না এই তারকা। দেশের মাটিতে খেলার সুযোগ তিনি পাননি। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছে সাকিবের বোলিং। ইসিবির বোলিং পরীক্ষায় ফেল করায় সাকিব অন্য কোনো দেশেও বোলিং করতে পারবেন না। সবাই তখন প্রশ্ন তুলবে।
কাউন্টির ম্যাচ খেলতে গিয়ে আম্পায়াদের সন্দেহের তালিকায় পড়েন সাকিব। তার বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এরপর পরীক্ষায় বস ফেল করেন। তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়। এমনিতেই সাকিব বাংলাদেশের জার্সিতে খেলছেন না। আওয়ামীলীগ সরকারের বিদায়ের আচমকা থেমে যায় তার ক্যারিয়ার।
ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের আগে টেস্ট ও টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া সাকিব ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবেন জানিয়ে ছিলেন। ঢাকায় তিনি শেষ টেস্ট খেলতে চেয়ে ছিলেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদের মুখে দেশেই ফিরতে পারেননি আওয়ামীলীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য। তার ঢাকা ফেরার খবরে উত্তাল হয়ে পড়ে ঢাকা। বিসিবি তাকে দেশে আসতে বারণ করে।
এরপর থেকেই প্রবাস জীবন সঙ্গী সাকিবের। ঢাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় দেশে ফেরা অনিশ্চিত। দেশের মাটিতে না খেলায় বিসিবি তাকে বিদেশের সিরিজগুলোর দলেও নিচ্ছে না। আফগান সিরিজে খেলা হয়নি তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেও সাকিব নেই।এরই মধ্যে তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে। এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা অনিহা দেখালেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
সাকিব জানিয়ে ছিলেন তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে চান। সোমবার মিরপুরে সাংবাদিকেরা লিপুর কাছে জানতে চান সাকিবের দলে থাকা নিয়ে। জবাবে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘কিছু প্রশ্নের উত্তর সরাসরি আমার কাছে নেই। সাকিব আল হাসানের বিষয়ে আপনারাই অবহিত আছেন। এই মুহূর্তে আমি তার দলে অন্তর্ভূক্তির ব্যাপারটা সরাসরি পরিষ্কার করে বলতে পারবো না।’
জাতীয় দলে নেই, দেশে ফিরতে পারছেন না। বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে লিপু সাংবাদিকদের জানান এটা অস্বাভাবিক বিষয়। তিনি বলেন, ‘এটা (সাকিবের) পুরোপুরি ভিন্ন ইস্যু। এটা গতানুগতিক কোনো বিষয় নয়। এটা অস্বাভাবিক একটা বিষয়। যেটা সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে হচ্ছে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০