স্পোর্টস ডেস্ক: অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আগেই জানিয়ে ছিলেন, সাকিবকে তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিস্কার করতে হবে। তবেই তার ব্যা্পারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। অবশেষে সাকিব আল হাসান তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন। ব্যাখা দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দুঃখ প্রকাশও করেছেন।
সাকিবের ফেসবুক পোস্টের পর সরকারের মনোভাবেও পরিবর্তন আসছে। ফলে তার ঢাকায় এসে খেলার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। মিরপুরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আইন উপদেষ্টার বরাত দিয়ে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে সাকিবের সংশ্লিষ্টতা না পেলে নাম বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে তার দেশে এসে খেলে আবার ফিরে যাওয়ায় কোনো সমস্যা থাকবে না।
মিরপুরে সাকিব বিরোধী লেখালেখি এবং প্রতিবাদের মধ্যে তার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা স্পষ্ট জানিয়েছেন, নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। সরকার সেটা করবে। ক্রিকেট টিমের নিরাপত্তার দায়িত্বও সরকারের। অন্তবর্তীকালীন সরকারের এমন মনোভাবের পর বুঝাই যাচ্ছে সাকিব আল হাসান ঢাকায় ফিরছেন এবং ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ঢাকায় খেলবেন তিনি।
সরকারের বরফ গলেছে মূলত সাকিব দুঃখ প্রকাশ করে অবস্থান পরিস্কার করার পর। ঢাকায় ফিরলে সাকিব বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট বিপিএলও খেলতে পারেন। মামলা থেকে তার নাম বাদ পড়ে গেলে বা সরকার নমনীয় হলে সাকিবের দেশে অবস্থান করাটাও সহজ হতে পারে। ফলে ক্রিকেটার সাকিবের ঢাকায় অবস্থান করা এবং খেলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
সাকিব প্রশ্নে রোববার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশে আসা কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তো থাকার কথা না। আমি যতটুকু জানি। আর আইনের বিষয়টা আইন মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করতে পারবে। আমি বিশেষজ্ঞও না কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও না। ’
পরে অবশ্য আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাাদেরও কথা হয়েছে। আসিফ নজরুল (আইন উপদেষ্টা) স্যার ইতোমধ্যে বলেছেন সংশ্লিষ্টতা না পেলে প্রাথমিক তদন্তেই যে মামলা হয়েছে, ওখান থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে। ’
সাকিব দেশে ফেরার গুঞ্জন উঠার পর থেকেই একটা পক্ষ মিরপুরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দেওয়াল লিখন করছে। এসবের মধ্যে তারা নিরাপত্তা কি সরকার নিশ্চিত করে এমন এক প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, , ‘রাষ্ট্রের জায়গা থেকে প্রত্যেক নাগরিকেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এবং ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা আমরা নিশ্চিত করব এবং আমি মনে করি যে আবেগের জায়গাটা অবশ্যই আছে। যেহেতু বড় একটা আন্দোলন হয়েছে এবং সাকিবের আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেটা উনি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন উনার পোস্টে। তারপরও কিছু ইমোশন রয়ে গেছে। যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক ওই প্রশ্নে যাব না। সেটা অন্য বিতর্ক। ’
সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অনুরোধ করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে এত বড় একটা অভ্যূত্থান হয়েছে। এরপর আসলে যেটা হয় বিভিন্ন দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে মানুষ আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল জায়গাটা ধরে রেখেছে। আমরা ওই ধরনের পরিস্থিতির দিকে আসলে এত বেশি যাই নাই। সবাই প্রত্যাশাও করছিল খুব বাজে অবস্থা হবে। ’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০