স্পোর্টস ডেস্কঃ সিডনি টেস্টের প্রথম দিনেই পাকিস্তানকে ৭১.১ ওভারে ৩১৩ রানে অলআউট করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার অজি পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শেষদিকে আমির জামালের ব্যাটে মান রক্ষা হয়েছে সফরকারীদের।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে ছিল পাকিস্তান। ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্টের প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অজি পেসার মিচেল স্টার্কের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে আউট হন পাকিস্তান ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। দ্বিতীয় ওভারেই নিজের অভিষেক টেস্টে শূন্য রানে ফিরে যান সায়েম আইয়ুব। এরপর সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম-অধিনায়ক শান মাসুদও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি।
২৬ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান বাবর। তার তিন ওভার পরই ফিরে যান সাউদ শাকিলও। তাকেও তুলে নেন অজি অধিনায়ক। শান মাসুদ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে মিচেল মার্শের বলে আউট হয়ে ৩৫ রানে ফিরে যান পাক অধিনায়ক। তবে দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আঘা সালমান। দুইজনের গড়া ৯৪ রানের জুটি পাকিস্তানকে বাঁচায়। রিজওয়ান ৮৮ রান করে কামিন্সের বলে হ্যাজেলউডের কাছে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। সালমানও ৫৩ রানে ফিরে যান।
এরপর হাসান আলির উইকেট নিয়ে টানা তৃতীয়বার এবং টেস্টে ১২তম বার পাঁচ উইকেট শিকার করেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। এরপর আমির জামাল দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৮২ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মির হামজাকে নিয়ে তিনি গড়েন ৮৬ রানের জুটি। যেখানে হামজা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মাত্র ৭ রানে। গত ২২ বছরে শেষ উইকেটে এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৮ রানের অপরাজিত জুটি করেছিলেন ইউনুস খান ও রাহাত আলি। আজ জামাল ৯৭ বলে করেন ৮২ রান।
কামিন্সের ৫ উইকেট ছাড়াও স্টার্ক দুইটি এবং জস হ্যাজেলউড, নাথান লায়ন ও মিচেল মার্শ পেয়েছেন একটি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ১ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৬ রান করেছে স্বাগতিকরা। ওয়ার্নার ৬ রান ও উসমান খাজা ০* রানে উইকেটে আছেন।
Discussion about this post