নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে নাবিল সামাদের ৫ আর আবু জায়েদ রাহীর ৪ উইকেটে ফলোঅনে পড়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। স্বাগতিক বিভাগ ৪৯১ রান তুলে চট্টগ্রামকে প্রথম ইনিংসে ২৩৭ রানে অলআউট করে ফেলে।
ফলোঅনে পড়া চট্টগ্রাম বিভাগ তৃতীয় দিন শেষ করেছে শুন্য উইকেটে ৮৮ রানে। দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ৫৭ আর জসিমউদ্দীন ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। অপরাজিত এই দুই ব্যাটার শেষ দিনে আবারো ব্যাট করতে নামবেন ইনিংস হারের লজ্জা এড়াতে।
বড় রানের বোঝা কাঁধে নিয়ে দ্বিতীয় ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম ভালো অবস্থানে থেকে দিন শেষ করেছিলো। এক উইকেটে ৯৮ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করা দলটি তৃতীয় দিন শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। আগের দিন ৪৫ রানে অপরাজিত থাকা পারভেজ ইমন ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন। সাত চারে ২৩৭ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৯২ রান করেছেন তিনি।
৪৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামের ওপেনার পিনাক হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফিরেছেন প্যাভেলিয়নে। ছয় চারে ১৭৪ বলে ৫৮ রান করেছেন। এছাড়াও ২৪ রান করেছেন ইয়াসিন আরাফাত।
সিলেটের হয়ে ৫৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন নাবিল সামাদ। রাহী ৩৬ রানে নিয়েছেন চার উইকেট।
আগে ব্যাট করতে নামা সিলেট ৯ উইকেটে ৪৮১ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। সিলেট দুই ওপেনার তান্না ও তুষারের ব্যাটে পায় দারুণ শুরু। ওয়ানডে স্টাইলে ওপেনার তুষার করেছেন ৬৮ রান। ৬৩ বলের ইনিংসে তিনি আট চার ও তিন ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আরেক ওপেনার তান্না করেন ৩৯ রান। তাদের উদ্বোধনী জুটিতেই সিলেট পায় ৯৪ রান।
চারে নামা জাকির হাসান প্রথম দিনই শতক হাঁকিয়ে থাকেন অপরাজিত। দ্বিতীয় ব্যাট করতে নেমে তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। ১৮ চার ও ২ ছক্কায় ৩১৮ বলে ক্যারিয়ার সেরা ২১৩ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। তাকে দারুন সঙ্গ দেওয়া আসাদুল্লাহ আল গালিবও ফিফটি করেছেন। সাত চারে ১৭৩ বলে ৬৭ রান করেছেন তিনি। ২৫ রান করেছেন আল আমিন জুনিয়র। ২১ রান করেছেন সাকিব।
চট্টগ্রামের হয়ে হাসান মুরাদ ৫টি ও রনি চৌধুরী ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/ ০০