নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দিনে তামিম-সাকিবদের অর্জন দুই দশ উইকেট। আগে ফিল্ডিং করা বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের ১০ উইকেট তুলে নিয়েছে।
টাইগারদের তিন পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমদ ও এবাদত হোসেনের আগুনে বোলিংয়ে বৃষ্টিভেজা দিনে পুড়ে ছারখার হয়েছে অতিথিরা। স্বাগতিকদের বোলিং তোপে পড়ে আয়ারল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ১০১ রানে।
১০২ রানের টার্গেটে খেলতে নামা বাংলাদেশ নিজেদের ঝুলিতেই রাখে আরো দশ উইকেট। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডকে কোনো উইকেট দেননি তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ১০ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ১০ উইকেট হাতে রেখে প্রথম জয় এটি। সিলেটে শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে মাত্র ১০১ রান করে আইরিশরা।
রান তাড়ায় তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে রেকর্ড গড়া জয় পায় স্বাগতিকরা। ফলে ২-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে তামিমের দল। এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়েছিল। আর প্রথম ওয়ানডেতে রেকর্ড ১৮৩ রানে জিতেছিল তারা।
বৃহস্পতিবার ১০২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তামিম ও লিটনের উদ্বোধনী জুটিতে বড় জয়ের সুবাস পেতে থাকে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ৮১ রান তুলে ফেলেন দুই ওপেনার। আর শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠে ছেড়েছেন দুজন। ২২১ বলে বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ওপেনার স্টিফেন ডোহেনি পঞ্চম ওভারে ফিরে যান। হাসানের বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৮ রান করে। টিকতে পারেন নি পল স্টার্লিংও। ডোহেনির পর ইনিংসের নবম ওভারে হাসানের শিকার হন তিনি। ১ চারে ১২ বলে ৭ রান করেছেন আইরিশ তারকা। এরপর অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি-হ্যারি টেক্টরও ফিরে যান।
টেক্টর রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেন। হাসানের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে সময় মতো ব্যাট নামিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার ব্যাটে লাগার আগে ছুঁয়ে যায় সামনের প্যাড। এরপর রিভিউ নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম। আর রিভিউতে সফল হলে আরেকবার উৎসবে মাতেন ফিল্ডাররা।
টেক্টরের পরই আউট হন অধিনায়ক বালবার্নিও। উইকেট শিকারে যোগ দেন তাসকিন। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলটি শরীর থেকে দূরে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন অধিনায়ক বালবার্নি। স্লিপে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল হোসেন। ২৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ডের ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় থাকেন ক্যাম্ফার-টাকার জুটি।
দুজনের ৪২ রানের জুটি টাকারকে ফিরিয়ে ভাঙেন এবাদত হোসেন। আইরিশ এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে সরাসরি বোল্ড করেন এবাদত। টাকার ৩১ বলে করেন ২৮ রান। ডকরেল নামের পাশে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি। পরে তাসকিন তুলে নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে। একই ওভারে তিনি মার্ক অ্যাডায়ারের উইকেটও পান।
সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা ক্যাম্ফার পরাস্ত হন হাসান মাহমুদে। ৩৬ রানে তাকে তাসকিনের ক্যাচ বানান মাহমুদ। আইরিশদের সবশেষ উইকেটটিও যায় হাসানের ঝুলিতে। গ্রাহাম হিউম করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান ডানহাতি এই পেসার। ১০২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ পায় দারুণ শুরু।
ফিফটি হাঁকিয়েছেন লিটন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি করতে স্রেফ ৩৭ বল খেলেছেন এই ওপেনার। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি চার। তামিম অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ২ ছক্কা। জয়ের আগে বাংলাদেশের ইনিংসে বাকি ছিল ২২১ বল। রানতাড়ায় বল বাকি থাকার হিসেবে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশের জন্য।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post