নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে দুই ম্যাচ জেতা পরই আবার হারের ধারাবাহিকতায় ফিরে গেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেট পাত্তাই পায়নি দুর্বার রাজশাহীর কাছে। এনামুল হক বিজয়ের রাজশাহীর কাছে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে আরিফুলের দল।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে দুর্বার রাজশাহী। টস জিতে ব্যাট করতে নামা দলটি ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৭ উইকেটে ১৮৪ রান তুলে। জবাবে ব্যাট করতে নামা সিলেট স্ট্রাইর্কাস জাকির=জাকেরদের লড়াইয়ের পরও জিততে পারেনি। মাত্র ১১৯ রানেই গুটিয়ে গেছে।
১৮৫ রানের টার্গেটে খেলতে নামা সিলেট শুরু করে উইকেট হারিয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৩ রানেই ওপেনার পল স্টার্লিং ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ৫ বলে দুই রান করেন এই ওপেনার। এই ওপেনারের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৩ রানে ব্যক্তিগত ৪রানে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে জৃজি মুনশেকে নিয়ে যা একটা লড়াই করেন জাকির হাসান। দু’জনের জুটি থেকে আসে ৫৮ রান। ইনিংসের দশম ওভারের তৃতীয় বলে জাকিরের বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের জুটি। সিলেটের জয়ের আশাও অনেকটা শেষ হয়ে যায়। চার চার ও দুই ছক্কায় ২৮ বলে ৩৯ রান করেন জাকির হাসান। তার বিদায়ের পর ৪রান যোগ করতেই এবার ফিরেন জর্জি মুনশে। ২২ বলে ২০ রান করেন তিনি।
এরপর কেবল যাওয়া-আসার মিছিল করেন স্ট্রাইকার্সরা। জাকের আলী অনিক কিছুটা লড়াই করেন। তিন চারে ২০ বলে ৩১ রানে তিনি ফিরলে সিলেটের জয়ের সব সম্ভাবনাই শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত স্ট্রাইকার্সরা ১৭.৩ ওভারে ১১৯ রানেই গুটিয়ে যায়।
রাজশাহীর হয়ে সানজামুল ইসলাম ৩টি. মৃত্যুঞ্চয় চৌধুরী ও আফতাব আলম ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মরা উইকেটে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। দুই ছক্কায়ঢ ১৪ বলে ১৯ রানে ফিরে যান পাকিস্তানী ওপেনার মোহাম্মদ হারিস।
আরেক ওপেনার জিসান আলমও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় রান অর্ধশতক পেরুতেই ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ২০ রানে তিনিও ফিরেন প্যাভেলিয়নে। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার রায়ান বার্ল ও অধিনায়ক বিজয়ের ব্যাটে্ই পায় চ্যালেঞ্জিং পূঁজি।
দলের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন বার্ল। চারটি বিশাল ছক্কা ও একটি বাউন্ডারিতে সাজিয়েছেন ২৭ বলের ইনিংসটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন অধিনায়ক বিজয়। ২২ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন তিন চার ও দুই ছক্কায়। ১৯ রান করেছেন ইয়াসির আলী। ১৪ রান এসেছে আকবর আলীর ব্যাট থেকে।
সিলেটের হয়ে রুয়েল মিয়া ৩টি, নিহাদুজ্জামান ও নাহিদুল ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০