স্পোর্টস ডেস্ক:: সুপার ওভারের নাটকীয়তায়, মোহাম্মদ আমিরের সর্বনাশা বোলিংয়ে বিশ্বকাপে অঘটনের শিকার হলো পাকিস্তান। রোমাঞ্চকর সুপার ওভারে পাকিস্তানে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ডালাসে আগে ব্যাট করা পাকিস্তান ১৫৯ রান তুলেছিলো সাত উইকেটে। জবাবে ব্যাট করতে নামা যুক্তরাষ্ট্র তিন উইকেটেই তুলে ফেলে ১৫৯ রান। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আগে ব্যাট করা স্বাগতিকরা আমিরের সাত ওয়াইডের ওভারে ১৮ রান তুলে ফেলে। ১৯ রানের টার্গেটে খেলতে নামা পাকিস্তান তুলতে পারে মাত্র ১৩ রান। তাতেই অঘটনের শিকার হয়ে পড়ে দলটি। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই হারতে হলো বিশ্বকাপের শিরোপা প্রত্যাশীদের।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে বাবর আজমদের পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আগে ব্যাট করা দলটি ১৫৯ রান তুলেছে সাত উইকেটে। অধিনায়ক বাবর আজম ও শাদাব খানের ব্যাটেই দেড়শো উর্ধ্ব সংগ্রহ করেছে। ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার রিজওয়ান ফিরে যান ব্যক্তিগত ৯ রানে। তিনে নামা উসমান খানও ফিরেন দ্রুত। ব্যক্তিগত ৩ রানে দলীয় ১৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর চারে নামা ফখর জামানও হতাশ করেন সমর্থকের। দলীয় ২৬ রানেই তৃতীয় উইকেটে ব্যক্তিগত ১১ রানে প্যাভেলিয়েন ফেরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে শাদাবকে নিয়ে জুটি গড়েন বাবর আজম। শুরুর বিপর্যয় সামলে পাকিস্তানে পথে ফেরান দু’জনে। দলীয় ৯৮ রানে ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে শাদাবের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। তিন ছক্কা ও এক চারে ২৫ বলে ৪০ রানে ফিরে যান এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা আজম খানও ফিরেন দ্রুত। এরপর বাবরও ফিরেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে। ৪৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান পাক অধিনায়ক। শাহিন আফ্রিদীর অপরাজিত ২৩ আর ইফতেখারের ১৮ রানে সাত উইকেটে ১৫৯ রানে থামে পাকিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে নতুশি ৩টি ও সুরাবা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্র ওপেনার স্টিভেন টেলরকে দ্রুত হারালেও জয়ের পথেই ছিলো। আরেক ওপেনার অধিনায়ক প্যাটেল ও তিনে নামা এনড্রিস গৌসের ব্যাটে পাকিস্তানের বোলারদের শাসন করতে থাকে দলটি। শেষ সাত ওভারে ৫৬ রানের সমীকরণ শেষ ওভারে ১৫ রানে এসে দাঁড়ায়। সমীকরণটা প্রায় মিলিয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ১৪ রান তুলে ম্যাচ ‘টাই’ করে ফেলে দলটি।
৩৮ বলে ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে কুপোকাত করে ছাড়েন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক প্যাটেল। সাত চার ও এক ছক্কায় সাজানো ছিলো তার ইনিংসটি। ২৬ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রানে পকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন গৌস। তাদের দু’জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর অ্যারণ জোসই হারিয়ে দেন পাকিস্তানকে। ম্যাচকে সুপার ওভারে নিয়ে যান তিনি। ২৬ বলে দু’টি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ রান তুলেন তিনি। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন নিতিশ কুমার। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
অ্যারণ জোন্স আবার নিজেই ব্যাট করেন সুপার ওভারে। আমিরের ওভার থেকে যুক্তরাষ্ট্র তুলে ফেলে ১৮ রান। সাত ওয়াইড দেন পাকিস্তানের পেস তারকা। ১৯ রাের টার্গেটে খেলতে নামা পাকিস্তান ১ উইকেট হারিয়ে ১৩ রান তুল। তাতেই হারে বিশ্বকাপ শুরু হলো পাকিস্তানের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post