সেঞ্চুরির পর জয়ের হাসিতে জন্মদিন রাঙালেন কোহলি

0
30

স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় হারের লজ্জা দিয়েছে ভারত। কলকাতায় আজ বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ৩২৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। রান তাড়ায় মাত্র ৮৩ রানে শেষ হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ২৪৩ রানের রেকর্ডগড়া জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার দল।

৩২৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফর্মের তুঙ্গে থাকা কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করেন তিনি। এরপর পাওয়ারপ্লের আগে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকেও হারায় প্রোটিয়ারা। রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন বাভুমা।

পাওয়ারপ্লের শেষ বলে আঘাত হানেন শামি। ফিরে যান এইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ক্রিজে দুই বিশ্বস্ত ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। এই দুজনের ব্যাট থেকে রানের দেখা পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা পেলো না কিছুই।

১১ বলে ১ রান করে দলীয় ৪০ রানে ফিরেছেন ক্লাসেন। আর পরের ওভারে কোন রান না করেই আউট ভ্যান ডার ডুসেন। ৩২ বলে তার রান ১৩। দুইজনের উইকেট গিয়েছে জাদেজা আর শামির ঝুলিতে। ডেভিড মিলার আর মার্কো জানসেন তবু আশা হয়ে ছিলেন ক্রিজে। তবে সেটাও অতি অল্প সময়ের জন্য।

মিলার করেছেন ১১ আর জানসেনের স্কোর ১৪। জাদেজা আর কুলদীপের শিকার তারা। টেলএন্ডারদের কেউ অবশ্য মিরাকল ঘটাতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে মাত্র ৮৩ রানে। বিশ্বকাপে এটিই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। ফলে ভারত জিতল টানা আটটি ম্যাচ। নেদারল্যান্ডসের পর দক্ষিণ আফ্রিকা হারল প্রথমবার।

বল হাতে বড় অবদান রাখেন জাদেজা। বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার ৩৩ রানে নেন ৫ উইকেট। বিশ্বকাপে ভারতের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে এই স্বাদ পেলেন তিনি। ২০১১ আসরে বেঙ্গালুরুতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। জাদেজা ছাড়া আজ ২টি করে উইকেট নেন কুলদিপ ও শামি।

এর আগে নিজের ৩৫তম জন্মদিনে ৪৯তম সেঞ্চুরি করে কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের পাশে বসে বিরাট কোহলি। এর পিছনে ২৭৭ ইনিংস সময় লাগল তার। জন্মদিনে সেঞ্চুরি করা ৭ম ব্যাটসম্যান তিনি। আর সেটা বিশ্বকাপ মঞ্চে করা তৃতীয় ব্যাটসম্যান। শচিনে সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরির মালিক বনে অপরাজিত থাকেন ১২১ বলে ১০১ রানে।

টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমেই ঝড় শুরু করেন রোহিত শর্মা। তার ২৪ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই বোর্ডে জমা হয় ৯১ রান। এর পরের ওভারেই ফিরে যান ২৩ রানে ফেরেন শুবমান গিল। এরপর রানের গতি কিছুটা কমে গেলেও ১৩৪ রানের বড় জুটি গড়েন কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। আইয়ার ফেরেন ৮৭ বলে ৭৭ রান করে।

সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ২২ রান। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ২৯ রান করে। তাতে ৫ উইকেটে ৩২৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। প্রোটিয়াদের হয়ে এইডেন মার্করাম ছাড়া বাকি সবাই একটি করে উইকেট নেন।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here