স্পোর্টস ডেস্ক:: আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরির ‘রেকর্ড’ করলেন বিরাট কোহলি। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলের ছয় সেঞ্চুরি ছাপিয়ে ভারতের এই তারকার সেঞ্চুরি এখন সাতটি। এমন রেকর্ডের দিনেও মুখে হাসি নেই বিরাট কোহলির। তার দল যে বিদয়া নিয়েছে আইপিএলের মঞ্চ থেকে।
এবারের আসরের প্লে-অফের তিন দল আগেই নিশ্চিত হয়ে যায়। গুজরাট, চেন্নাই ও লখনৌ আগেই নিশ্চিত করে শেষ চার। চতুর্থ দলের লড়াইয়ে শেষ দিনে মাঠে নামে মুম্বাই-হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু ও গুজরাট। সমীকরণ এমন ছিলো শেষ চারে যেতে হলে মুম্বাইকে জিততে হবে। সেই সঙ্গে পরের ম্যাচে হারতে হবে ব্যাঙ্গালুরুকে। আবার ব্যাঙ্গালুরু যদি প্লে-অফে যেতে চায় তা হলে কেবল গুজরাটের কাছে জিতলেই চলবে।
দিনে প্রথম ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সানরাইজ হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে নিজেদের কাজটা সেরে রাখে। মুম্বাই শিবির প্রার্থনায় ছিলো ব্যাঙ্গালুরুর হারের। বাঁচা মরার ম্যাচে বিরাট কোহলিরা হেরে যায় গুজরাটের কাছে। ফলে চতুর্থ দল হয়ে প্লে-অফে গেলো মুম্বাই।
শেষ ম্রাচে বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করেন, জবাবে পাল্টা সেঞ্চুরি কেন শুভমান গিল। তাতেই আইপিএল থেকে বিদায় কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। সেঞ্চুরি, পাল্টা সেঞ্চুরির ম্যাচটিতে গুজরাট টাইটান্স ৬ উইকেটে হারিয়েছে ব্যাঙ্গালুরুকে। এই হারে প্লে-অফে উঠা হলো না কোহলিদের।
আগে ব্যাট করা ব্যাঙ্গালুরু কোহলির সেঞ্চুরিতে ১৯৭ রান তুলেছিলো। বৃষ্ট বিঘ্নিত ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স শুভমান গিলের সেঞ্চুরিতে চার উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয়। প্লে-অফে যেতে হলে ম্যাচটি জয়ের কোনো বিকল্প ছিলো না ব্যাঙ্গালুরুর। এমন সমীকরণের ম্যাচে শুভমান গিল একাই হারিয়ে দিলেন দলটিকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ব্যাঙ্গালুরু বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসিসের উদ্বোধনী জুটিতেই পায় ৬৭ রান। এরপরই ব্যক্তিগত ২৮ রানে প্লেসিসের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। তবে এক প্রান্ত আগলে শতক তুলে নেন কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাত সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি। ৬১ বলে খেলেছেন ১০১ রানের ঝলমলে ইনিংস। ১৩ চার ও এক ছক্কা ইনিংস শেষে থাকেন অপরাজিত। ২৬ রান আসে মিচেল ব্রেসওয়েলের ব্যাট থেকে। ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন আঞ্জু রাওয়াত। ৫ উইকেটে ১৯৭ রানে থামে তাদের ইনিংস।
গুজরাটের হয়ে নূর আহমদ ২টি ও মোহাম্মদ শামি ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
১৯৮ রানের টার্গেটে খেলতে নামা গুজরাটের শুরুটাও ভাল হয়নি। দলীয় ২৫ রানেই হারায় প্রথম উইকেট। দুই চারে ১৪ বলে ১২ রানে ফিরে যান ওপেনার ওয়ারিদ্দিমান সাহা। তবে আরেক প্রান্তে সেঞ্চুরিয়ান শুভমান গিল শতক হাঁকিয়ে একাই শেষ করে দেন ম্যাচ। কোহলির মতো তিনিও অপরাজিত থাকেন। ১০৪ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন ৫২ বলে পাঁচ চার ও আট ছক্কায়। ৩৫ বলে ৫৩ রান করেছেন বিজয় শঙ্কর। তাতেই ব্যাঙ্গালুরুর বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ৫ বল হাতে রেখে চার উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে দলটি।
ব্যাঙ্গালূরুর হয়ে মোহাম্মদ সিরাজ ২টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post