নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। শেষ ওভারে ২৬ রানের সমীকরণ মিলিয়ে জিতল রংপুর। নুরুল হাসান সোহানের অতিমানবীয় ইনিংসে ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায় দলটি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুর রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। কাইল মেয়ার্সের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে রাইডার্সদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন সোহান। পরের চার বলে আরো চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করেন তিনি। তাতে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ২ রানে। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রংপুরের অধিনায়ক। আসরে এটি টানা ষষ্ঠ জয় তাদের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৯৭ রান করে বরিশাল। রান তাড়ায় শুরু থেকে ব্যাকফুটে ছিল রংপুর। তবে ইফতিখার আহমেদ ও খুশদীল শাহ জুটি গড়ে দলকে জয়ের দৌড়ে রাখেন। শেষদিকে এসে অধিনায়ক সোহান অতিমানবীয় ইনিংস খেলে রংপুরের ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত করেন। ৩ উইকেটের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে রংপুর।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবাল (৩৪ বলে ৪০) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৩০ বলে ৪১) ওপেনিং জুটিতে ৮১ রান যোগ করেন। ১০.১ ওভারে শান্ত ফিরে গেলে ৯০ রানের মাথায় তামিমও বিদায় নেন। এরপর ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাইল মেয়ার্স ঝড় তোলেন। ২৯ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে তিনি হাঁকান ৭টি ছক্কা ২টি চার। তৌহিদ হৃদয় (১৮ বলে ২৩) ও শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ২০ রানে ভর করে বরিশাল ৫ উইকেটে ১৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। রংপুরের পক্ষে কামরুল ইসলাম ৩ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর। মাত্র ১ রানে ফিরে যান ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলস। এরপর সাইফ হাসান (১৯ বলে ২২) ও তৌফিক খান (২৮ বলে ৩৮) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলটি ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। এরপর পাকিস্তানের দুই ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ (৩৬ বলে ৪৮) ও খুশদিল শাহ (২৪ বলে ৪৮) ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নেন। দুজনেই মারকাটারি ব্যাটিং করলেও ১৭.৫ ওভারে ইফতিখার ও ১৮.৩ ওভারে খুশদিল আউট হয়ে গেলে ম্যাচ আবার জমে ওঠে। শেষ তিন ওভারে যখন ৪১ রান প্রয়োজন ছিল, তখন থেকে শুরু হয় নাটকীয়তা। শাহীন আফ্রিদির করা ১৮ তম ওভারে আসে মাত্র ৩ রান। এরপর ১৯ তম ওভারে প্রথম দুই বলে ৬ মারলেও, পুরো ওভার ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। যেখানে রংপুরের এক ব্যাটার অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডে আউট হন। পরের বলে আরো এক উইকেট গেলে মনে হতে থাকে হয়তো রংপুর প্রথম হারের স্বাদ পাবে তবে তখনই ব্যাট হাতে ত্রাতা হিসেবে দাঁড়ান সোহান।
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৭ বলে ৩২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ ওভারে ২৬ রান প্রয়োজন হলেও ঠাণ্ডা মাথায় দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সোহান। মেয়ার্সের করা শেষ ওভারে ৩ ছয় ও ৩ চারে দলকে জেতান তিনি। বরিশালের পক্ষে জাহানদাদ খান ৪ ওভারে ২ উইকেট নেন, তবে ৪৮ রান খরচ করেন। শাহীন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০০০