স্পোর্টস ডেস্ক:: বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলো দারুণ ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখাচ্ছে। সৌদী আরব বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটানোর পর এবার জার্মানিকে রুখে দিয়েছে জাপান। পূর্ব এশিয়ার দেশটি পিছিয়ে পড়া বিশ্বকাপের ফেবারিট হারিয়ে দিয়েছে খলিফা স্টেডিয়ামে। চার বারের চ্যাম্পিয়ন, আট বারের ফাইনালিস্টদের হারিয়ে দিয়েছে এশিয়ার প্রতিনিধিরা।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক পাসিংয়ের ম্যাচ খেলেও জিততে পারলো জার্মানি। ৭৩ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রেখেছে। ৭৭১ টি পাসের মধ্যে তাদের ৬৮৭টি পাসই ছিলো নিখুঁত। প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারলো না। আগের দিন আর্জেন্টিনাও সৌদী আরবের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হেরেই মাঠ ছেড়েছে।
ফিফা র্যাংকিংয়েও জাপানের চেয়ে এগিয়ে ছিলো জার্মানি। বিশ্বকাপের সর্বাধিক ফাইনাল খেলা দলটি ১১তম স্থানে ছিলো। পিছিয়ে থাকা জাপানের ফিফা র্যাংকিং ২৪। তবে মাঠের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকলেও জাপান শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। ম্যাচে বল দখলে মাত্র ২৬ শতাংশ ছিলো জাপানের।
পিছিয়ে পড়া জাপানিরা দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল দিয়ে অসাধারণ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। পেনাল্টি থেকে এগিয়ে গিয়েছিলো জার্মানি। তবে শেষ পর্যন্ত এই লিড ধরে রাখতে পারেনি দলটি। ৭৫তম মিনিটে সমতায় ফেরা জাপান ম্যাচের শেষ দিকে নিশ্চিত করে জয়।
দুই দলের টান টান উত্তেজনার ম্যাচটির প্রথমার্ধে জার্মানি লিড নিয়ে পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে। শুরুতেই গোল মিস করা গুন্ডোগান পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে এগিয়ে দেন জার্মানকে। তার গোলেই লিড নিয়ে বিরতিতে গেছে দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে দুই দলই। গুন্ডোগান শুরুতেই গোলের সুযোগ মিস করেন। তবে ম্যাচের ৩১তম মিনিটেই সুযোগ পয়ে জার্মানি। জাপানের গোলরক্ষক ফাউল করে বসেন। ৩৩তম মিনিটে স্পট কিক থেকে গুন্ডোগন গোল করলেও এগিয়ে যায় জার্মান।
পিছিয়ে পড়া জাপান ম্যাচে ফিরতে মরিয়ে হয়ে উঠে। কয়েকটি আক্রমণও করে তারা। তবে গোলের দেখা পায়নি। উল্টো ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কাই হাভার্টেজ গোল করেন। অতিরিক্ত সময়ের ৫ম মিনিটে করা তার গোলটি রেফারি ভিএআর’রের সহায়তা নিয়ে বাতিল করে দেন। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কাছে ধরা পড়ে অফসাইড হয়েছে।
অফসাইডের কারণে কাই হেভার্টজের গোলটি বাতিল হয়ে গেলে ব্যবধান বাড়িয়ে আর বিরতিতে যেতে পারেনি জার্মানি। ১-০ গোলের ব্যবধানেই বিরতিতে যায় দলটি। বল দখলের লড়াইয়েও গিয়ে ছিলো জার্মানিরা।
বিরতির পর খেলা শুরু হলে ঘুরে দাঁড়ান জাপান। বল দখলের লড়াইয়েও সমানে সমান টক্কর দেয় দলটি। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে সমতায় ফিরে তারা। মিনামিনোর দারুণ এক শট রুখে দেন নুয়্যার। তবে ফিরতে শটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। ১-১ গোলের সমতায় ফেরান দলকে।
সমতায় থাকা ম্যাচে লিড নিতে জার্মানিরা গতি আর আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। জবাবে জাপানও লড়াই করে। আক্রমণও উঠে তারা। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে সেই সুযোগও পেয়ে যায় দলটি। ৮৩তম মিনিটে আসেনার গোলে জাপান এগিয়ে যায় ২-১ গোলে। জার্মানিরা আর গোল শোধ করতে পারেনি। অসাধারণ এক জয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে জাপান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০