নিজস্ব প্রতিবেদক:: ২০১৪ সাল থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরুর। সিলেটের সবুজ বাইশ গজের শুরু থেকেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্টেডিয়ামে কাটিয়েছেন ইকরাম চৌধুরী। সেই শুরু থেকেই সিলেট স্টেডিয়াম সিকিউরিটি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর ঘন্টা খানেক আগেও ছিলেন তার প্রিয় সেই সিলেট স্টেডিয়ামে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাণই বলা যায় ইকরাম চৌধুরীকে। স্টেডিয়ামটি শুরু থেকেই প্রতিটি সিরিজ, টুর্নামেন্টে নিষ্ঠার সাথেই পালন করেছেন নিজের দায়িত্ব। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে টেস্টের চতুর্থ দিন আজ বুধবার সকালেও নিজের কাজে যোগ দেন। দায়িত্বপালনকালেই ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করেন ইকরাম চৌধুরী। সহর্মীরা দ্রুত একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
অন্যসব দিনের মতোই বুধবার সকালে স্টেডিয়াম আসেন ইকরাম চৌধুরী। দায়িত্বপালনকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অবস্থা গুরুতর দেখে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। তবে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টাকে বৃথা করে দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে পরপারে পাড়ি জমান স্টেডিয়ামের এই নিবেদিত প্রাণ।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সিকিউরিটি ইনচার্জ ও ক্রীড়া সংগঠক আলী ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী অনী এসএনপিস্পোর্টসকে বলেন, ‘ইকরাম স্টেডিয়ামের প্রাণ ছিলেন। এই স্টেডিয়ামের শুরু থেকে সিকিউরিটি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ মৃত্যুর আগ পর্যন্তও ডিউটিতে ছিলেন। স্টেডিয়ামের এই নিবেদিত কর্মকর্তাকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।’
মৃত্যুকালে ইকরাম চৌধুরীর বয়স হয়েছিলো ৪৬ বছর। এক ছেলে, স্ত্রী ও অসংখ্য আত্মীয় স্বজনগুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে স্টেডিয়াম পাড়ায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০