স্পোর্টস ডেস্কঃ চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের পর, দ্বিতীয় ম্যাচে এসে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অজিরা। লঙ্কানদের দেওইয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া টপকে গেছে ২১ বল হাতে রেখেই। দলের হয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন স্টোয়নিস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই তারকা। মাত্র ১৮ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। স্ট্রাইক রেট ৩২৭.৭৭।
পার্থে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ১০ বলে ১১ রান করা ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়া তুলতে পারে মাত্র ৩৩ রান। আর এই রান তুলতে গিয়ে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি অজিরা। ব্যাটিংয়ে ধুঁকতে দেখা যায় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকেও। শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত রেকর্ড সঙ্গী হয়। পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম পাওয়ার প্লে’তে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারলো না অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চের সাথে ৪০ রানের জুটি গড়ে খানিকটা রানের চাকা সচল করে দিয়ে যান মিচেল মার্শ। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ১৭ বল খেলে ১টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কার মারে ১৮ রান করেন। পরবর্তীতে ম্যাক্সওয়েল এসে ১২ বলে ২টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ২৩ রানের ক্যামিও খেলে ফিরে যান।
আর এরপরই উইকেট আসেন স্টোয়নিস। ফিঞ্চের সাথে ২৫ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো এক জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৬.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অজিরা। ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিংয়ে ৪২ বলে ১ ছক্কায় ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন ফিঞ্চ। অপরপ্রান্তে ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন স্টোয়নিস। মাত্র ১৭ বলে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এর আগে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮ বলে ডেভিড ওয়ার্নারের ফিফটিই ছিল শীর্ষে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন মহেশ থিকশানা, চামিকা করুণারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। শেষের ঝড়ে অজিদের ১৫৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় দলটি। শেষ ৪ ওভারেই লঙ্কানরা তুলেছে ৪৭ রান। এর মধ্যে ইনিংসের একেবারে শেষ ওভারে এসেছে ২০ রান। যার জন্য বড় ভূমিকা চারিথ আসালঙ্কার।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইনফর্ম কুশল মেন্ডিসের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিশাঙ্কা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৬৯ রানের জুটি গড়লেও, সেটি ছিল ধীর গতির। একটা সময় বেশ কয়েকটি উইকেট কাছাকাছি সময়ে হারায় লঙ্কানরা।ধীর গতির রানে বিপদেও পড়ে দল। শেষ পর্যন্ত দলকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন চারিথ আসালঙ্কা। দেড়শ পার করে বেশ ভালো পুঁজিই পায় শ্রীলঙ্কা।
দলের পক্ষে ৪৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন একাদশে ফেরা নিশাঙ্কা। ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আসালঙ্কা। ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৬ রান করেন ধনাঞ্জয়া। ৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে চামিকা করুণারত্নের অপরাজিত ছোট ইনিংসও কোনো অংশে কম নয়।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭ জন বল তুলে নিয়েছিলেন হাতে। এর মধ্যে জস হ্যাজলেউড, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাস্টন অ্যাগার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা