স্পোর্টস ডেস্ক:: স্বাভাবিক ভাবেই ইংল্যান্ড ফেবারিট। ফুটবলের জনকরা সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও। জয় তাদের প্রত্যাশিত। তবুও যারা মাঠে নামেন, লড়াই করেন, তারাতো জয়ের জন্যই মাঠে নামেন। সমর্থকেরা নিজ দেশেরই জয়ই চান।
সেনেগালের সমর্থকেরা প্রত্যাশা করছিলেন তাদের দল জিতবে। অন্তত লড়াই করবে। কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলেছে সেনেগাল। তবে সুপার সিক্সটিনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারলো না দলটি।
এমন হারে মাঠেই হতাশ হয়ে পড়েন সেনেগালের সমর্থকেরা। ফুটবলাররাও কাঁদেন মাঠে। সেনেগাল গোল হজমের পর সমর্থকদের হতাশ হওয়ার দৃশ্য বারবারই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। গ্রুপ পর্বে দারুণ খেললেও এবার আর পারলো না সেনেগাল। কাতার বিশ্বকাপের সুপার সিক্সটিন থেকেই বিদায় নিতে হলো দলটিকে। দাপুটে জয়ে ইংল্যান্ড নিশ্চিত করে শেষ আটের টিকিট।
প্রথামর্ধের দুই গোলের সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধের এক গোল মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে বড় জয় তুলে নিয়েছে হ্যারি কেইনের দল। সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ হলো দলটি।
গোল দাতা জর্ডান হেন্ডারসন, হ্যারি কেইন, সাকাকে দ্বিতীয়ার্ধে তুলে নেন ইংল্যান্ড কোচ। এরপরই খেলায় কিছুটা ফিরতে পারে সেনেগাল। তবে ইংলিশদের রক্ষণে আঘাত করতে পারেনি দলটি। সুপার সিক্সটিনে গোলহীন থেকেই বিদায় নিলো তারা।
সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন সেনেগাল। প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় ইংলিশদের আটকে রাখলেও শেষ দিকে গোল হজম করতে হয়েছে দলটির। প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করা সেনেগাল ম্যাচে সমতায় ফিরতে পারেনি। পিছিয়ে থেকেই যায় বিরতিতে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে জর্ডান হেন্ডারসন ও ক্যারি হেইনের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দলটি। হেন্ডারসনের গোলে লিড নেওয়ার পর হ্যারি কেইন ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নেন। সুপার সিক্সটিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। জয়ী দল টিকিট কাটবে কোয়ার্টারফাইনালের।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইংল্যান্ড একের পর আক্রমণ করেই যাচ্ছে। সাবেক চ্যাম্পিয়ন আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যাতিব্যস্ত থাকতে হচ্ছে সেনেগালকে। প্রথমার্ধের বেশির ভাগ ইংলিশদের রুখেও দেয় দলটি।
তবে ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের দারুণ এক গোলে ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। আধিপত্য বিস্তার করেই খেলছে ইংলিশরা। বলের নিয়ন্ত্রণ রাখছে তাদের পায়ে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হ্যারি কেইন ব্যবধান বাড়িয়ে নেন।
বিরতি থেকে ফিরেই সাকার গোলে লিড বাড়িয়ে নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে তার গোলেই ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোটা নিজের হাতে নিয়ে ইংল্যান্ড কোচ এরপর বদলী নামান একাধিক খেলোয়াড়কে। তুলে নেন তারকাদের।
হ্যারি কেইন, সাকা, হেন্ডারসনরা উঠে গেলে কিছুটা ছন্দে ফিরে সেনেগাল। আক্রমণেও যায় দলটি। তবে তারা গোলের দেখা পায়নি। ৩-০ গোলের হার নিয়েই তাই কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো দলটি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০00