নিজস্ব প্রতিবেদক:: হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি অনুমোদন হয়েছে। নতুন কমিটি পরিচিত সভাও করেছে। তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটিতে সুযোগ মিলেনি জাতীয় দলে খেলা তারকাদের। এডহক কমিটির সাবেক ক্রিকেটার, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বা কোচ কোনো ক্যাটগারিতেই সুযোগ মিলেনি জেলাটি সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের।
হবিগঞ্জ থেকে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন নাজমুল হোসেন। জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বর্তমানে আছেন কোচিং পেশায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় কোচ হলেও কাজ করছেন জাতীয় পর্যায়ে। তার হাত ধরেই সিলেট বিভাগের তরুণ ক্রিকেটাররা সুযোগ পাচ্ছেন কোয়ালিফাইরাউন্ডসহ ওয়াইসিএলের মতো আসরে। আগামির তারকা গড়ায় কাজ করছেন। হবিগঞ্জের প্রত্যান্ত অঞ্চল চুনারুঘাটে গড়ে তুলেছেন ক্রিকেট একাডেমিও। তার মতো গুণী ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের এডহক কমিটিতে সুযোগ না মেলায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। অথচ বিভাগীয় শহর সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটিতেই সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে খেলা সাবেক দুই তারকা ক্রিকেটার।
সম্প্রতি সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি অনুমোদন করা হয়। যেখানে রাখা হয় জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার, বর্তমানে কোচিং পেশায় যুক্ত রাজিন সালেহকে। জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও এখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা অলক কাপালীকেও রাখা হয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটিতে। যেখানে ব্যতিক্রম হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
পদাধিকার বলে হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন জেলা প্রশাসক। সদস্য সচিব হয়েছেন জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। জেলা ক্রীড়া অফিসারের পদ শুন্য থাকায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার নাম দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে ক্রীড়া অফিসার থাকায় তিনিই সদস্য সচিব। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে, সদস্য সৈয়দ মুশফিক আহমদ, সাইফুল ইসলাম জসিম, মোঃ জয়নাল আবেদীন, রাবেয়া সুলতানা মিম, নাহিদ উদ্দিন তারেক ও সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকনকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমাকে যদি কাজের সুযোগ না দেওয়া হয়, তবে আমি কি ভাবে কাজ করব? এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। নিজের এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০