স্পোর্টস ডেস্কঃ চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শেষের নাটকে হেরে গেছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কে সোমবার আগে ব্যাট করে ১১৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। রান তাড়ায় চাপে পড়লেও তাওহীদ হৃদয় ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে জয়ের পথে হাঁটছিল টাইগাররা। তবে শেষ ওভারে লড়াই করেও বাংলাদেশকে জেতাতে পারেন নি রিয়াদ। ৪ রানের জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রান তাড়ায় ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৯৪ রান। ১৮ বলে প্রয়োজন ২০ রান। তখনই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকা হৃদয়। কাগিসো রাবাদার বলে আবেদন ওতো জোরালোও ছিল না। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ দেন এলবিডব্লই। বলটি লেগ স্টাম্পের চূড়ায় হালকা ছুঁয়ে যায়। রিভিউ নিয়েও তাই কাজ হয়নি। আম্পায়ার্স কলে আউট ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩৪ বলে ৩৭ রান করা হৃদয়। তার আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন অবশ্য তোলাই যায়। রাবাদার ‘নাম মাত্র’ আবেদনেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। হৃদয় রিভিউ নিলে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পের বেলস ছুঁয়ে যেত বল। অর্থাৎ মাঠের আম্পায়ার ‘নট আউট’ দিলেও কোনো ভুল হতো না!
দলের বাকি সবার চেয়ে ভালো খেললেও, শেষ পর্যন্ত টিকে ম্যাচ জিতিয়ে আসতে না পারায় নিজেকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন হৃদয়। এই তরুণ মিডল-অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘ম্যাচ হেরে গিয়েছি। আমার আউটে। আমি যদি ওখানে খেলাটা শেষ করতাম, তাহলে ম্যাচটা হারতাম না। তারা (শান্ত-সাকিব) তো অনেক আগেই আউট হয়ে গেছে। আমি তো শেষ পর্যন্ত ছিলাম ওখানে। আমার মনে হয়েছে, আজকের খেলাটা আমিই পারতাম জিতিয়ে দিতে। আমি আউট হয়ে গিয়েছি, পারিনি। এই তো। আসলে এই স্কোরে জেতার ভালো আত্মবিশ্বাস ছিল আমাদের। ওই অবস্থা থেকে আমার ম্যাচটি শেষ করে আসা উচিত ছিল। এই কন্ডিশনে নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য গিয়েই মানিয়ে নেওয়া কঠিন। তাই আমারই শেষ করা উচিত ছিল।’
এসএনপিস্পাের্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post