স্পোর্টস ডেস্কঃ আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের পুঁজি গড়ে জিতল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। বুধবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২৭৭ রানের পাহাড় গড়ে তারা। জবাব দিতে নেমে মুম্বাই থামে ২৪৬ রানে। ৩১ রানের জয় পায় হায়দ্রাবাদ। আসরে এটি তাদের প্রথম জয়। অন্যদিকে মুম্বাই টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল।
এর আগে শুরু থেকে তাণ্ডব বইয়ে দেওয়া হায়দ্রাবাদ প্রথম সাত ওভারেই দলীয় শতরানের গণ্ডি পার করে ফেলে। তাদের প্রথম উইকেটের পতন হয় ৪৫ রানে। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের বিদায়ের পরই শুরু হয় আসল ঝড়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা মিলে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ৬২ রান করা হেডের বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে, এমন ইনিংস খেলতে মাত্র ২৪ বলে অজি ক্রিকেটার ৯টি চার ও ৩টি ছয় হাঁকিয়েছেন। এরপর ২৩ বলে ৬৩ রান করে ফেরেন অভিষেক। যেখানে ৩টি চার ও ৭টি ছয়ের মার।
১৬১ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর আর হায়দরাবাদকে পেছনে তাকাতে দেননি অ্যাইডেন মার্করাম-হেইনরিখ ক্লাসেন জুটি। ক্লাসেন ব্যক্তিগত ফিফটি পেয়েছেন ২৪ বলে। পরবর্তী ১০ বলে তিনি আরও ২৯ রান নিজের নামের পাশে যোগ করেন। সবমিলিয়ে মাত্র ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৭টি ছয়ে এই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে। এছাড়া আরেক অপরাজিত ব্যাটার মার্করাম ২৮ বলে ৪২ রান করেন।
দলীয়ভাবে হায়দ্রাবাদ আজ আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম দুইশ রান তোলে। যাতে তাদের লেগেছে ১৪.৪ ওভার। এর আগে ২০১৬ আসরে বেঙ্গালুরু ১৪.১ ওভারে দলীয় ২০০ পেরিয়েছিল। হায়দ্রাবাদের এমন ঝড় তোলার দিনে স্বাভাবিকভাবেই দিশেহারা ছিলেন মুম্বাইয়ের বোলাররা। আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে অভিষেক হওয়া কেনা মাফাখা ৪ ওভারে দেন ৬৬ রান। যা আইপিএলে অভিষিক্ত বোলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড।
সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ খরুচে বোলার মাফাখা। পাশাপাশি তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য। মুম্বাইয়ের হয়ে এদিন একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া, জেরাল্ড কোয়েটজে ও পিযূশ চাওলা। তবে জাসপ্রিত বুমরাহ বাদে তাদের সবাই দশের বেশি গড়ে রান দিয়েছেন। এদিন এই পেসার যখন নিজের স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন, ততক্ষণে হায়দ্রাবাদের রান ১২ ওভারে ১৭৩। এ সময়ের মধ্যে মুম্বাইয়ের সেরা এই বোলার বল করেছেন মাত্র ১ ওভার। যা নিয়ে অধিনায়ক হার্দিকের সমালোচনা করেছেন টম মুডি ও ইরফান পাঠানরা।
ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার মুডি বলেন, ‘আপনার কাছে যখন এই সংস্করণে বিশ্বের সেরা বোলার (বুমরাহ) থাকে, আপনি তাকে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র একটি ওভার করান এবং ১৩তম ওভারে দ্বিতীয়বার বলে ডাকেন, এটা অবিশ্বাস্য। সে সময় খেলা তো পুরোপুরি শেষ। বুমরাহর যা সামর্থ্য আছে, তাকে অবশ্যই পাওয়ার প্লেতে দুই ওভার বোলিং করতে হবে। পাওয়ার প্লেতে উইকেট নিতে হবে এবং সে উইকেটশিকারি।’ এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ ইরফান পাঠান লিখেছেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বকে কমপক্ষে সাধারণ মানের বলতেই হবে। যখন ধ্বংসলীলা চলছে, তখন বুমরাকে দূরে সরিয়ে রাখা আমার বোঝার বাইরে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post