স্পোর্টস ডেস্ক:: ক্রিকেটে সাধারণ ক্যাচ আউট, বোল্ড আউট, স্ট্যাম্পিং, রানআউট আর এলবিডাব্লিউ’র আউট দেখা যায়। হিটআউট খুব একটা দেখা যায় না। সেই হিটআউট আর রানআউটের চাপে পড়া লঙ্কানরা অজিদের বিপক্ষে শেষ দিকে নামা চামিকা করুনারত্মের দুর্দান্ত ফিফটিতে লড়াইয়ের পূঁজি পেয়ে ছিলো।
তবে ম্যাচটি জিতেত পারেনি লঙ্কানরা। ১৬০ রানের সহজ টার্গেট অস্ট্রেলিয়া টপকে গেছে চার উইকেট হাতে রেখেই। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ লঙ্কানরা যদিও জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে। শেষ ম্যাচে এসে অস্ট্রেলিয়া ৬৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪ উইকেটের শান্ত্বনার জয় পেয়েছে।
১৬১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা অজিদের শুরুটাও অবশ্য ভাল হয়নি। দলীয় ১১ রানের মধ্যেই প্রথম উইকেট হারায় দলটি। রানের খাতা খুলার আগেই ৩ বল খেলা অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ফিরে যান সাজঘরে। কুঁড়ি রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় দলটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। অর্ধশত রানে চতুর্থ আর শতরান পেরিয়েই হারায় পঞ্চম উইকেট। তবে তাতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশি কষ্ট হয়নি দলটির।
শেষ দিকে নামা অ্যালেক্স ক্যারির দায়িত্বশীল ব্যাটিং ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত হয় দলটির। ৬৫ বলে এক চারে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করে তার সঙ্গে অপরাজিত থাকেন গ্রিন। এছাড়াও ৩১ রান করেন লাবুশানে। ২৪ রান আসে মিচেল মার্শের ব্যাট থেকেট।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুনিথ ৩টি ও থিকসেনা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৬০ রানে অলআউট হয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা। চামিকা করুণারত্নের ফিফটি মান বাঁচিয়েছে দলকে। কোনোমতে দেড়শ পেরোতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।
আগে ব্যাট করতে নেমে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লঙ্কানরা। দলীয় মাত্র ৮৫ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। এরপর নবম উইকেটে অভিষিক্ত প্রমোদ মধুসনকে নিয়ে ৫৮ রানের এক জুটি গড়েন চামিকা করুণারত্নে। এই জুটিই শ্রীলঙ্কাকে খানিক লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়।
ইনিংসের একেবারে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন চামিকা করুণারত্নে। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলকে করেছেন অনেকটা। তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭৫ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। এর বাইরে ২৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস, ১৫ রান করেন প্রমোদ ও ১৪ রান করেন গেল ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান চারিথ আসালঙ্কা। এই চার জন ব্যতীত আর কেউই দুই অঙ্কের রানের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন জশ হ্যাজলেউড, ম্যাথু কুহনেম্যান ও প্যাট কামিন্স। এছাড়া ক্যামেরন গ্রিন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০