নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ পেয়েছে মান রক্ষার পুঁজি। চট্টগ্রামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রান করেছে টাইগাররা। লড়াকু ফিফটি করেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। বৃষ্টির কারণে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটাররা।
অধিনায়ক তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা ইনিংস বড় করতে পারেন নি। হাল ধরতে পারেন নি আফিফ হোসেন-মেহেদি হাসান মিরাজরা। ব্যাটারদের যাওয়া আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি হাঁকান হৃদয়। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফিফটির দেখা পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে লিটন দাসের ব্যাটে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় ৩০ রানে। ১৩ রান করে তামিম ইকবাল উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন ফজলহকের বলে। এই নিয়ে টানা চতুর্থবার তামিমকে আউট করলেন এই বাঁহাতি পেসার। এরপর ৬৫ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার লিটন দাসও। মুজিব উর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৬ রান করেন তিনি।
ওয়ান ডাউনে নেমে ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। মোহাম্মদ নবির বলে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়ার আগে করেন ১২ রান। নবির বলে সুইপ করে গিয়ে শান্ত ডেকে আনেন নিজের বিপদ। লেগ স্টাম্পে থাকা বল হাঁটু নামিয়ে সুইপ করতে যান তিনি। বল তাঁর ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট ফাইন লেগে। ১৬ বলে ১২ রান করে আউট শান্ত।
ইনিংস বড় করতে পারেন নি সাকিব আল হাসানও। ফিরেছেন কোনো বাউন্ডারি না হাঁঁকিয়েই। আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন বাঁঁহাতি এই ব্যাটার। দলীয় ১০৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নবি নিলেন দুর্দান্ত ক্যাচ। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার সাকিব। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটি থামল ৩৫ রানে। ৩৪ বলে ১৪ রান করা এই বাঁহাতির বিদায়ে বিপদ বাড়ল টাইগারদের।
সাকিবের পরই আফগানদের উইকেট বিলিয়ে আসেন মুশফিক। রশিদ খানের বলে আলগা শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ৩ বলে ১ রান করেই ফিরেন তিনি। মুশফিকের পর আফিফ হোসেনও ব্যর্থ হয়েছেন। রশিদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই বাঁহাতি। ৮ বলে ৪ রান করে তিনি আউট হলেন দলকে আরও বিপর্যয়ে ঠেলে। এরপর মিরাজকে হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ।
মিরাজ এবার আর পারলেন না দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। ফারুকির রাউন্ড দা উইকেটে করা লেংথ বল অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকে। মিরাজ চেষ্টা করেন পুল করতে। কিন্তু পারেননি ব্যাটে-বলে করতে। বল লাগে পায়ে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। মিরাজ রক্ষা পাননি রিভিউ নিয়ে। ২৩ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি।
শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নামা তাসকিন আউট হয়েছেন ৭ রান করে। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই টিকেছিলেন হৃদয়। ৬৭ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। যদিও ৫০ পেরোনোর দুই বল পরই ফারুকির বলে রহমানুল্লাহর গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। শেষ জুটিতে মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ মিলে যোগ করেন ৫ রান। তাতে করে শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের হয়ে ফারুকি ৩ আর রশিদ ও মুজিব নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০