হৃদয়ের ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে জিতলো শেখ জামাল

0
59

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। ৭ উইকেটের সেই জয়ে শেখ জামাল আসরে নিজেদের নবম জয়ের দেখা পেল দশম ম্যাচে। সমান ম্যাচ খেলে প্রাইম ব্যাংকের এটি চতুর্থ হার আসরে। ম্যাচে দুই রানে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন তাওহীদ হৃদয়। শেখ জামালের হয়ে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।

সাভারের বিকেএসপিতে প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঝড়ো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও রবিউল ইসলাম। তবে ৫ ওভার স্থায়ী সেই জুটি ৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি। ১৮ রান করা রবিউলের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। এরপর টপ অর্ডারে নামা ফজলে রাব্বিও এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ২ রানের বেশি করতে পারেননি এই বাঁহাতি।

তৃতীয় উইকেটে হৃদয়কে সাথে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন সাইফ। সেই জুটি ভাঙে দারুণ ইনিংস খেলা সাইফের বিদায়ে। ৮০ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি শেখ জামালকে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে সাথে নিয়ে ১৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ২০ বল বাকি থাকতেই দলকে জিতিয়ে মাঠে ছাড়েন হৃদয়।

হৃদয় সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েন। ১১৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৯৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এই তরুণ ব্যাটার। অপরদিকে ফিফটি মিসের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন সোহান। ৫৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন এই তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তাইজুল ইসলাম, শেখ মেহেদী ও করিম জানাত ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। মুশফিকুর রহিম ছাড়া আর কেউ বড় রান করতে পারেননি। দলটি শুরুতে ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি পায়। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি পায়। চতুর্থ উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেন। এরপর চল্লিশোর্ধ বেশ কয়েকটি জুটি আসে। তবুও আড়াইশ রান করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক।

একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ফিফটি হাঁকান মুশফিক। এই ব্যাটার একাই খেলেছেন ৭৭ রানের ইনিংস। ৭৫ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। নাসির হোসেন ৩৪, ওপেনার শাহদাত হোসেন দিপু ৩৩, শেখ মেহেদী হাসান ৩০ রানের ইনিংস খেলেন।

শেখ জামালের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন এবাদত হোসেন। এই পেসার একাই শিকার করেছেন ৪ উইকেট।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here