হৃদয়-তাইবুরের ব্যাটে আবাহনীকে প্রথম হারের তিক্ততা দিল শেখ জামাল

0
60

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। টানা ৮ ম্যাচ জয়ের পর নবম ম্যাচে এসে হারলো দলটি। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ৪ উইকেটে হারিয়েছে আকাশী-নীলদের।

আবাহনীর দেওয়া ২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেশ লড়াই করছিল শেখ জামাল। শুরুটা ভালোই ছিল। তবে ৩০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হিসেবে সৈকত আলিকে হারায়। যদিও মাত্র ২ রান করেন এই ওপেনার। তবে ফজলে রাব্বিকে নিয়ে বেশ ভালোই ছুটছিলেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। দলীয় ৬৩ রানের মাথায় তিনিও বিদায় নেন ৮ বাউন্ডারিতে ব্যক্তিগত ৩৯ রান করে।

তৃতীয় উইকেটে রাব্বি ও তাওহীদ হৃদয় জুটি বাঁধেন। দলের রান একশ পার করে রাব্বি যখন বিদায় নেন, তখন তার ৬ বাউন্ডারিতে নামের পাশে ৩৮ রান। এরপর চতুর্থ উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন হৃদয় ও তাইবুর রহমান। রাকিবুলের জোড়া শিকারের একটি হয়ে হৃদয় প্যাভিলিয়নে পথ ধরলে, ভাঙে সেই জুটি। তবে এর আগে ৭৭ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৭২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে যান হৃদয়।

এরপর ১০ রানের ক্যামিও খেলে দ্রুতই বিদায় নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিও। যদিও এতে বিপাকে পড়লেও, বড় বিপদ হয়নি শেখ জামালের। তাইবুর ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে দলটি। শেষ দিকে আউট হওয়ার আগে তাইবুর অবশ্য নিজের ফিফটি তুলে নেন। খানিকটা ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ১০০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৬৩ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দলটি ইনিংসের একেবারে শেষ ওভারের প্রথম বলে গিয়ে জয় নিশ্চিত করে। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন সোহান।

আবাহনীর হয়ে রাকিবুল হাসান ২টি উইকেট শিকার করেন সর্বোচ্চ।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে দলটি ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। ইনিংসের শুরুতে নাঈমে শেখের ঝড়ো ব্যাটে ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় দলটি। মাত্র ১৫ রান করে ইনফর্ম এনামুল হক বিজয় বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জাকের আলি অনিকের সাথে ৫৩ রানের জুটি বাঁধেন নাঈম।

শেষ পর্যন্ত ফিফটি হাঁকিয়েই দলীয় ৯৪ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাঈম। এই ওপেনার এদিন ৪৬ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। আসরে এই নিয়ে সপ্তম বারের মতো পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেন। নাঈমের বিদায়ের পর ৪৪ রানের জুটি বাঁধেন জাকের ও নাজমুল হোসেন শান্ত। জাতীয় দলের ব্যস্ততা শেষে প্রথমবার ডিপিএলের এবারের আসরে খেলতে নামা শান্ত ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। ৩ বল খেলে ডাক মেরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে থেকে আসে ২০ রান মাত্র। দলের বিদেশি দানিশ আজিজ করেন ১৩ রান। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা জাকেরও ফিরেন এক সময়। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। যদিও ধীর গতির ছিল, তবুও ১১৯ বলের ইনিংসটি ৬ বাউন্ডারিতে সাজিয়েছেন। শেষদিকে সাইফউদ্দিনের ১৬ আর তানজিম সাকিবের ১২ রানে ভর করে আড়াইশ রানের পুঁজি পায় আবাহনী।

বল হাতে শেখ জামালের আরিফ আহমেদ ৩ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী-এবাদত হোসেন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here