নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। এরপর থেকে হেরেই চলেছে দলটি। টুর্নামেন্টের নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজিটি টানা পঞ্চম হারের দেখা পেয়েছে। ঢাকাকে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আসরে নিজেদের পঞ্চম জয়ের দেখা পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ স্থান পোক্ত করল দলটি।
রংপুরের দেওয়া ১৭৬ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা। ৩.২ ওভারে দলীয় মাত্র ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। এরপর থেকে ছোট ছোট জুটির পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা শিবির। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভারে ১১৫ রানে গুঁটিয়ে যায় দলটির ইনিংস। ন্যুনতম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে না পেরে দেখে বড় হার।
দলের পক্ষে ৩১ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ের মারে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম শেখ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে।
রংপুরের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। শেখ মেহেদী, সালমান ইরশাদ ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর নির্ধারিত ওভারে স্কোর বোর্ডে জমা করে ৪ উইকেটে ১৭৫ রানের পুঁজি। এদিন রান পান সাকিব আল হাসান। রান করেছেন বাবর আজমও। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবি।
আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের দুই ওপেনার রনি ও বাবর আজম স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট করছিলেন। মাত্র ৭.৪ ওভারে ৬৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ২৪ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৩৯ রান করা রনিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি।
আগের ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হওয়া সাকিব এদিন ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামেন। এদিন শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল রংপুরের অলরাউন্ডারকে। বাবর আজমের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে বড় লক্ষ্যের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন সাকিব। তবে তাদের জমে ওঠা জুটি ভাঙে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে।
অর্ধশতকের পথে থাকা বাবর আজম মোসাদ্দেকের বলে গুলবাদিন নাইবের হাতে ধরা পড়েন। ৪৩ বলে ৫ চারে ৪৭ রান করেন পাকিস্তানের এই তারকা। এই ম্যাচ খেলেই পাকিস্তানে ফিরে যাবেন তিনি। এবারের বিপিএলে এটিই তার শেষ ইনিংস। বাবরের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি সাকিবও। মোসাদ্দেকের সেই ওভারেই আরও ৭ রান যোগ করে ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ নাইমের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ২০ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রান করেন তিনি।
সাকিবের বিদায়ের পর রংপুরের রানের চাকায় ব্রেক পড়ে। ইনফর্ম ওমরাজাই মাত্র ৩ রান করেই এই ম্যাচে অভিষিক্ত সাব্বিরের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নুরুল হাসান ও মোহাম্মদ নবি দুটি ক্যামিও খেলে রংপুরকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন। ১৬ বলে ৩ ছয়ে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন নবি। অধিনায়ক সোহান ১০ বলে ১টি করে চার ও ছয়ে ১৬ রান করেন।
ঢাকার পক্ষে সফলতম বোলার মোসাদ্দেক হোসেন। ৪ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন তিনি। আরাফাত সানি ও সাব্বির হোসেন বাকি দুটি উইকেট শিকার
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post