নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের অভিষেক ফিফটিতে একশ পার করল আফগানিস্তান। অলআউট হওয়ার আগে সফরকারীরা সংগ্রহ পায় ১২৬ রানের। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে জিততে বাংলাদেশের দরকার ১২৭ রান। তাতে টাইগাররা এড়াতে পারবে হোয়াইটওয়াশ। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে হাশমাতউল্লাহ শহীদির দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান ১০০-এর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল। কিন্তু টেল-এন্ডারদের নিয়ে লড়াই করে ওমরজাই সেটি হতে দেননি। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৬৭ বলে এসেছে তার পঞ্চাশ। ১২ ওয়ানডে ও ২২ টি-টোয়েন্টি খেলে প্রথম পঞ্চাশের দেখা পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার পঞ্চম ফিফটি।
শেষদিকে ওমরজাই ৩৬ রানের জুটি গড়েন মুজিবকে নিয়ে, নবম উইকেটে। এটিই আফগানিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭১ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৫৬ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন ওমরজাই। ৩ ছক্কা ও ১ চারে এই ইনিংস সাজান তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে অধিনায়ক শহীদির ব্যাট থেকে। ৫৪ বল খেলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে পেসার শরিফুল ইসলাম নেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
ইনিংসের শুরুতে আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে ১ রানে বিদায় করেন শরিফুল ইসলাম। এরপর একই ওভারে তিনি আউট করেন রহমত শাহকেও। শরিফুলের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল জাদরানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল যায় কিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। অনায়াস ক্যাচ ধরেন এই উইকেটকিপার। ইব্রাহিমকে ফেরানোর পর আবার আঘাত হানেন শরিফুল।
শরিফুলের বাড়তি বাউন্সের বলে এজড হন রহমত। বল লেগেছে ব্যাটের নিচের অংশে, এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে শুরুতেই আফগানিস্তানকে চাপে ফেলে দেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল আবার কিপার মুশফিকের গ্লাভসে। ৪ বলে রান না করে ফিরেন রহমত। শুরুর চাপ সামাল দিতে পারেনি আফগানরা। ইনিংস বড় করতে পারেন নি রহমানউল্লাহ গুরবাজও।
তাসকিন আহমেদের বলে মাত্র ৬ রান করে গুরবাজ ফিরেন সাজঘরে। বাউন্সারে পুল করার চেষ্টা করেন তিনি, কিন্তু অফ স্টাম্পের বাইরের বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি একটুও। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় পেছনে। কিপার মুশফিক অনেকটা লাফিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। প্রথম তিন উইকেটের প্রতিটিতেই ক্যাচ নিলেন তিনি। এর আগে ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ’র ক্যাচও নিয়েছিলেন মুশফিক।
২২ বলে ১০ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করেন সাকিব। এরপর তাইজুলের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন আফগান অধিনায়ক শহীদি। বল মিস করে বোল্ড হন তিনি। নিজের প্রথম স্পেলে আফগানিস্তানের টপ অর্ডারে ধস নামিয়েছিলেন শরিফুল। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আবারও উইকেটের দেখা পান তিনি।
বাঁহাতি পেসার শরিফুলের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করেছিলেন আব্দুল রহমান। ডিপ ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে তাইজুল ক্যাচ লুফে নিলে সাজঘরে ফিরতে হয় ৪ রান করা আব্দুলকে। এরপর জিয়া উর রহমানকে বোল্ড করেন তাইজুল। শেষদিকে মুজিব উর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। বল খেলেন ৩৪টি। ১২৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে এখন ব্যাট করবে বাংলাদেশ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post