স্পোর্টস ডেস্ক:: জয়ের ধারায় থাকতে পারলো না বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রান হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। এবারের বিশ্বকাপে রাইলী রুশোর সেঞ্চুরিতে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে দলটির প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিলো।
আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা রুশোর শতক আর কুইন্টন ডি ককের অর্ধশতকে ৫ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায়। জবাবে খেলতে নামা বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানেই গুটিয়ে যায়। ১০৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা।
দুই ওপেনার সৌম্য-শান্তকে হারিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ দ্রুতই হারায় সাকিব ও আফিফের উইকেটও।
টার্গেটে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয় সৌম্যকে হারিয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ৬ বলে ১৫ রান।
সৌম্যের বিদায়ের পরপরই ফিরেছেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ২৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এক চার ৯ বলে ৬ রান করেছেন শান্ত।
সৌম্য-শান্তকে হারানোর পর বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দল। এক ওভারের ব্যবধানে ফিরে যান অধিনায়ক সাকিব ও আফিফ হোসেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৪৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪ বলে ১ রানে সাকিব ফিরেন প্যাভেলিয়েন। তার বিদায়ের পরের ওভারে, অর্থাৎ পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৪৭ রানে ফিরেন যান আফিফ। চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে ১ রান করেন তিনি।
ইনিংসের দশম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৬৬ রানের মাথায় মিরাজ ফিরেন সাজঘরে। তার বিদায়ের পর ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৭১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত রানের খাতা খুলার আগেই মোসাদ্দেক ফিরেন সাজঘরে। ১২তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৭৬ রানের মাথায় সপ্তম উইকেটে সাজঘরে ফেরত যান সোহানও। ৬ বলে ২ রান করেন তিনি।
এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকা লিটন দাস ফিরেন ইনিংসের ১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৮৫ অষ্টম উইকেটে। তিনে নামা এই ব্যাটার ৩১ বলে ৩৪ রান করে এক প্রান্ত আগলে রাখেন দীর্ঘক্ষণ। তার বিদায়ের পর দ্রুইত গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ১০ রান করেন তাসকিন। শুন্য রানে রানআউট হন হাসান মাহমুদ। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজ।
সাউথ আফ্রিকার হয়ে এরিক ৪টি ও শামসি ৩টি করে উইকেট লাভ করেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা রাইলী রুশোর সেঞ্চুরি ও কুইন্টন ডি ককের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ করে। ইনিংসের শুরুতে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে হারায় প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৭ রানে ব্যক্তিগত ২ রানে সাজঘরে ফিরেন বাভুমা। দ্রুত ওপেনারকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ১৬৩ রানের জুটি গড়েন কক ও রুশো।
আফিফের শিকারে সাজঘরে ফেরার আগে প্রোটিয়া কক ৬৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেছেন। ৩৮ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায় সাজিয়েছেন ঝড়ো ইনিংসটি। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১৭০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় টেম্বা বাভুমার দল।
কক ফিরে গেলেও বাংলাদেশী বোলারদের তুলোধুনো করে ৫০ বলে সাতটি করে চার ও ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন রুশো। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১০৯ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরেছেন তিনি। তার আগেই বিশ্বকাপের মঞ্চে সেঞ্চুরি করলেন প্রথম প্রোটিয়া ক্রিকেটার হিসেবে। এক মাসের মধ্যেই তুলে তুলে নিলেন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-২০ সেঞ্চুরি।
শেষের দিকে সাকিব-আফিফ উইকেটের দেখা পেলেও ততোক্ষণে প্রোটিয়ারা বড় পূঁজি গড়ে তুলে। এইডেন মার্করাম ১০ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রানে থামে দলটি।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ২টি, হাসান মাহমুদ, আফিফ ও তাসকিন ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডকটম/নিপ্র/ডেস্ক/০০