নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে নিজেদের প্রথম ইনিংসে। ১০৩ রানেই ১০ উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের ২ উইকেট নিতে পেরেছে ৯৫ রানে। প্রথম দিন শেষে দলটি এগিয়ে আছে ৮ রানে। উইন্ডিজরা দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৯৫ রানে।
বাংলাদেশকে অল্পতে আটকে দেওয়া উইন্ডিজরা ওপেনিং জুটি থেকেই তুলে নেয় ৪৪ রান। ইনিংসের ২৬তম ওভারের প্রথম বলে প্রথম উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। মুস্তাফিজ ফিরিয়ে৷ দেন ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে। ৭২ বলে ২৪ রান করেন তিনি।
মুস্তাফিজের পর বাংলাদেশের হয়ে আরেকটি উইকেটের দেখা পান এবাদত। দলীয় ৭২ রানের ফিরে যান রেমন রেফার। ২৬ বলে ১১ রান করেন তিনি। দিন শেষে ৪২ রানে ব্যাথওয়েট ও ১২ রানে বোনার অপরাজিত আছেন। ৪৮ ওভারে ২ উইকেটে ৯৫ রান তুলা উইন্ডিজরা প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে আছে ৮ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ ও এবাদত ২ টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টে কোনোমতে একশ পার করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৩২.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০৩। দারুণ চারে ৬৫ বলে ফিফটি হাঁকান সাকিব আল হাসান। এর আগে ৬ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এক রান যোগ করেই মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন জেইডেন সেলেসের বলে। এরপর ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এবাদত হোসেনকে নিয়ে ফিফটি হাঁকান সাকিব।
সাকিবের টেস্টে ২৮তম আর উইন্ডিজের সাথে নবম ফিফটি এটি। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়ে। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। আলজারি জোসেফের ওপর চড়াও হতে গিয়ে লং অনে সীমানার কাছে ক্যাচ দেন রোচের হাতে। এর দুই বল পর জোসেফ খালেদের উইকেট তুলে নিলে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে।
এর আগে চোট কাটিয়ে শেষ মূহুর্তে উইন্ডিজ দলে সুযোগ পাওয়া কেমার রোচের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন মাহমুদুল হাসান জয়। শূন্য রানে ফিরেন এই ওপেনার। পরের ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন রোচের বলে। সরাসরি বোল্ড হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
মুমিনুল হক দাঁড়াতেই পারেন নি উইকেটে। ক্যারিবিয় পেসার জেইডেন সিলসের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশকে একটু স্থির করার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এরপর অহেতুক বল খেলতে গিয়ে উইকেট দেন তামিম। আলজারি জোসেফের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
নিজের প্রথম ওভারে করতে এসেই কাইল মায়ার্স নেন জোড়া উইকেট। তাঁর বলে কট-বিহাইন্ড লিটন। এরপর শট না খেলে এলবিডব্লু হন নুরুল হাসান। লাঞ্চের আগে অধিনায়ক সাকিব ও মিরাজের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দিতে লড়েছেন। এরপর অবশ্য আর বড় স্কোর হয় নি সফরকারীদের।
উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নিয়েছেন জোসেফ-সিলস। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন কেমার রোচ ও কাইল মায়ার্স।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০