স্পোর্টস ডেস্ক:: ব্যাটসম্যানদের রান উৎসব। বোলারদের দুর্বিসহ দিন। চলেছে রীতিমতো স্টিম রোলার। পাকিস্তান সুপার লিগে হয়ে গেলো দ্রুততম সেঞ্চুরির ‘রেকর্ড’। মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটার উসমান খান। এগারো চার ও সাত ছক্কায় মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে দ্রুততম সেঞ্চুরির ‘রেকর্ড’ গড়েন। ২২ বলে করে ছিলেন ৫০ রান। পরের ৫০ রান করেছেন মাত্র ১৪ বলে।
কোয়েটার বিপক্ষে মুলতানের উসমান খানের সেঞ্চুরির ম্যাচে এসেছে ৫১৫ রান। দুই দল মিলিয়ে ৪০ ওভরে রীতিমতো স্টিম রোলার চালিয়েছে বোলারদের উপরে। আগে ব্যাট করা মুলতানের ২৬২ রান। টার্গেটে ব্যাট করতে নামা কোয়েটার ২৫৩ রান। এক দিন আগেই পিএসএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির ‘রেকর্ড’ গড়ে ছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটার রাইলী রুশো। সেটি ভেঙে দ্রুততম সেঞ্চুরির ‘রেকর্ড’ নিজের করে নিয়ে উসমান খান। তার সেঞ্চুরিতে ৫১৫ রানের ম্যাচ জিতে নিয়েছে মুলতান সুলতান্স। রান বন্যার ম্যাচে ৯রানে হারিয়েছে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে।
পাকিস্তান সুপার লিগে আগে ব্যাট করা মুলতান সুলতান্স উসমান খানের সেঞ্চুরিতে ২৬২ রান তুলে। জবাবে ব্যাট করতে নামা কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ইফতিখার ও ওমার ইউসুফের ব্যাটে দারুণ লড়াই করে। শেষ পর্যন্ত তারা লক্ষ্য থেকে ৯ রান দূরে থামে।
রাওয়াল পিন্ডিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে মুলতান। ওপেনার শুরু থেকেই হয়ে উঠেন আক্রমণাত্মক। একের পর এক বাউন্ডারিতে দিশেহারা করে ছাড়েন কোয়েটার বোলারদের। এগারো চার ও সাত ছক্কায় মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে দ্রুততম সেঞ্চুরির ‘রেকর্ড’ গড়েন। শেষ পর্যন্ত থামেন ১২০ রানে। ৪৩ বলের রেকর্ড গড়া ইনিংসটি সাজান ১২ চার আর ৯ ছক্কায়।
উসমানের সেঞ্চুরির দিনে আরেক ওপেনার অধিনায়ক রিজওয়ানও ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি করেন। দুই ওপেনারের উদ্বোধনী জুটিতেই মুলতান পেয়ে যায় ১৫৭ রান। ছয় চার ও দুই ছক্কায় ২৯ বলে ৫৫ রান করেন অধিনায়ক। ২৫ বলে ৪৩ রান করেন টিম ডেভিড। এক চার ও চার ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংসটি। আগের দিনের হাফ সেঞ্চুরিয়ান পোলার্ড দুই চার ও এক ছক্কায় ১৪ বলে করেন ২৩ রান। তাতেই ৩ উইকেটে ২৬২ রান হয়ে যায় দলটির।
কোয়েটার হয়ে কায়েস আহমদ ২টি উইকেট লাভ করেন।
২৬৩ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় কোয়েটা। দলীয় ১৪ রানেই বিদায় নেন ওপেনার জেসন রয়। ছয় বলের ইনিংসে এক ছক্কায় ৬ রানই করেন তিনি। তার বিদায়ের পর আরেক ওপেনার নির্ভরতার প্রতীক মার্টিন গাপটিলও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৬০ রানেই ব্যক্তিগত ৩৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৪ বলের ইনিংস সাজান দুই চার ও চার ছক্কায়।
তিনে নামা মোহাম্মদ হাফিজও দ্রুত বিদায় নেন। দলীয় ৬৮ রানেই তিন উইকেট হারায় কোয়েটা। ২ বলে ১ রান করেন এই ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে ইফতিখার ও ওমার ইউসুফের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় কোয়েটা। লড়াই করতে থাকে দলটি। দু’জনের হাফ সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৫৩ রানে তারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ইউসুফ। ৩৬ বলের ইনিংস সাজান সাত চার ও তিন ছক্কায়।
কোয়েটার আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান ইফতিখার খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। চারটি করে চার ও ছক্কায় ৩১ বলে সাজান হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটি। এছাড়াও ২৮রান করেন উমর আকমল। ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন কায়েস আহমদ ও নাভিন উল হক।
মুলতানের হয়ে আব্বাস আফ্রিদী ৫টি ও ইসানুল্লা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post