স্পোর্টস ডেস্কঃ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বিশাল জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ১১২ রানের জয় পেয়েছে ডু প্লেসিস-কোহলিরা। রাজস্থানকে একইসাথে লজ্জার রেকর্ডে ডুবিয়েছে ব্যাঙ্গালোর। ব্যাঙ্গালোরের দেওয়া ১৭২ রানের দেওয়া বড় লক্ষ্যে মাত্র ৫৯ রানে অলআউট হয়েছে রাজস্থান।
যা কিনা আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানের ইনিংস রেকর্ড। তালিকার দুই নাম্বারে নাম অবশ্য রাজস্থানেরই। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া আইপিএলে কেপ টাউনে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয় রাজস্থান। সেটিও এই একই দল ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে। তবে লজ্জার এই রেকর্ডে তালিকার শীর্ষস্থানে আছে ব্যাঙ্গালোর নিজে। ২০১৭ সালে কলকাতার বিপক্ষে মাত্র ৪৯ রানে অলআউট হয় দলটি।
জয়পুরে ব্যাঙ্গালোরের দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। ওয়েন পারনেল, ব্রেসওয়েলদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারছিল না দলটির ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ৫৯ রানেই।
দলের পক্ষে মাত্র দুই জন ব্যাটার ব্যক্তিগত রানের খাতা দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন। এর মধ্যে শিমরণ হেটমায়ার ১৯ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। ১৫ বলে ১০ রান আসে জো রুটের ব্যাট থেকে। হেটমায়ার না দাঁড়ালে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়তো রাজস্থান।
কেননা বাকিরা সবাই সিঙ্গেল ডিজিটেই আটকে যান। এর মধ্যে দুই ওপেনার যশস্বী জয়সুয়াল ও জস বাটলার ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ইনিংসে আছে আরও দুটি ডাক। এসবের বাইরে একজন কোনো রান না করেই অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ওয়েন পারনেল ৩ ওভার বল করে মাত্র ১০ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন। মাইকেল ব্রেসওয়েল, কর্ণ শর্মারা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানের পুঁজি পায় ব্যাঙ্গালোর। ৭ ওভার স্থায়ী কোহলি ও ডু প্লেসিসের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৫০ রান। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ১৮ রান করে আউট হন কোহলি। এরপর ৬৯ রানের জুটি গড়েন ডু প্লেসিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তবে এই জুটি ভাঙার পর, দ্রুত সময়ে আরও কিছু উইকেট হারিয়ে বসে ব্যাঙ্গালোর। এতে করে দলটির রানের চাকা ধীর হয়ে আসে। তবে ম্যাক্সওয়েলের দৃঢ়তা ও অনূজ রাওয়াতের শেষের ঝড়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় আরসিবি। দলের পক্ষে ৪৪ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস। এছাড়া ৩৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। ১১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন অনূজ।
রাজস্থানের হয়ে অ্যাডাম জাম্পা ও কেএম আসিফ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা