নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পারল না বাংলাদেশের যুবারা। সেমি ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ৫ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ জুনিয়র টাইগারদের। পাকিস্তানের কাছে হেরে শিরোপার আশা মাটিতে মিশে গেল। আরও একটি হৃদয় ভাঙার গল্প তৈরি হলো।
পাকিস্তানের করা ১৫৫ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ দল থেমেছে ১৫০ রানে। কাছে গিয়েও পারল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। মিস করল সেমি ফাইনালের টিকিট। অপরদিকে রোমাঞ্চকর জয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমি ফাইনাল খেলবে এখন পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বেনুনিতে আগে ব্যাট করা পাকিস্তানকে মাত্র ১৫৫ রানেই আটকে দেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা পাকিস্তান ভালো করলেও, ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। রোহানাতদ্দৌলা বর্ষন ও শেখ পারভেজ জীবনের বোলিং তোপে পাকিস্তান যেতে পারেনি বেশি দূর।
কোনোমতে দেড়শ পার করেই ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানে থেমে গেছে পাকিস্তানের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন আরাফাত মিনহাস। শাহজাইব খান ২৬ রান করেন।
বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৩ মেইডেনসহ ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন জীবন। ৮ ওভারে ১ মেইডেনসহ ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন বর্ষণ।
১৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্বক বাংলাদেশ। তবে ২.৪ ওভারে ২৬ রানের বেশি টেকেনি উদ্বোধনী জুটি। সেই থেকে শুরু, এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দল। ব্যর্থ হন শিবলি-আরিফুল-আমিনরা। জিসান-শিহাবরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
৮৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ৪০ রানের জুটি গড়ে জয়ের আশার সঞ্চার তৈরি করেন শিহাব জেমস ও অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
এরপর ৪ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে যায়। পাকিস্তানের পক্ষে একতরফা চলে যায় ম্যাচ। তবে সেখান থেকেও, মারুফ মৃধাকে সাথে নিয়ে বর্ষণের অসাধারণ ব্যাটিং বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে ফের আশার সঞ্চার তৈরি করে।
জয় যখন একেবারে সন্নিকটে, তখনই মারুফ আউট হলে স্বপ্ন ভঙ্গের দহনে পুড়তে হয় বাংলাদেশকে। এক প্রান্তে ২১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন বর্ষণ। বল হাতের পর, ব্যাট হাতেও তার লড়াই বৃথা গেল। দলের পক্ষে শিহাব জেমস ২৬ রান করেন সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন উবাইদ শাহ। তিনি পাকিস্তান জাতীয় দলের তারকা নাসিম শাহ ও বিপিএল খেলতে আসা হুনাইন শাহ’র ছোট ভাই। এর বাইরেও আলি রাজা ৩ উইকেট শিকার করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post