স্পোর্টস ডেস্ক:: ১২ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে জয়ের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ো ছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তুু দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কেউ জিততে পারেনি। ইংল্যান্ড-জার্মানির রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে ৩-৩ গোলে।
সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ের শুরুটা নিষ্প্রাণ। উয়েফা নেশন্স কাপে দুই দলের এই লড়াইয়ে প্রথমার্ধে কেউ দাপট দেখাতে পারেনি। ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচের সব রোমাঞ্চ যেনো অপেক্ষায় ছিলো দ্বিতীয়ার্ধের। গোলের লড়াই শুরু হলে ম্যাচের শেষ দিকে। শেষের বিশ মিনিট আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে শেষ পর্যন্ত ছয় গোল হলো। কিন্তুু জিতলো না কেউ।
লন্ডনের ওয়েম্বলিতে নেশন্স লিগের ম্যাচটির প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শুন্য সমতায়। একাধিক আক্রমণ করলেও কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। অনেকটা বাধ্য হয়েই ইংল্যান্ড-জার্মানিকে বিরতিতে যেতে হয় গোলের দেখা ছাড়াই।
দ্বিতীয়ার্ধেই যেনো আসল লড়াই শুরু হলো। যে লড়াইয়ে মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে জার্মানির জালে তিন গোল দিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তুু সাবেক চ্যাম্পিয়নদের লড়াই বলে কথা। ছাড় দেয়নি জার্মানি। শেষ দিকে জ্বলে উঠে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়ে তারা।
ম্যাচের ৭১তম মিনিট থেকে ৮৩তম মিনিট পর্যন্ত একে এক তিন গোল আদায় করে নেয় পিছিয়ে পড়া ইংল্যান্ড। কিন্তুু শেষ দিকে জার্মানি আরো একটি গোল দিয়ে সমতায় শেষ করে ম্যাচ। ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ৩-২ ব্যবধানে লিড নেওয়া ইংল্যান্ডকে ম্যাচ শেষ করতে হয় ৩-৩ সমতায়।
ম্যাচের ৫২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে লিড নেয় জার্মানি। স্পট কিকে জার্মানিকে এগিয়ে নেন গিনদোয়ান। হ্যারি মাগুয়ার ফাইল করলে সুযোগ কাজে লাগায় জার্মানরা। ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া দলটি ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। ভেরনারের কাছ থেকে পাওয়া বল ইংল্যান্ডের জালে জড়ান হাভার্টজ।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া ইংল্যান্ড এরপরই অবিশ্বাস্য ভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। জয়ের আশা বাঁচিয়ে তুলে দলটি। ১২ মিনিটের মধ্যে দুই শোধ করে লিড নেয় দলটি। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে লুুক শ’র গোলে ব্যবদান ২-১ করে ফেলে দলটি। ম্যাসন মাউন্ট ৭৫তম মিনিটে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান। ম্যাচের স্কোর লাইন হয়ে যায় ২-২।
এরপরই জার্মানির খেলোয়াড়রা ফাউল করে হ্যারি কেইন ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল আদায় করে ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। জয়ের পথে থাকা ইংল্যান্ডের বাঁধা হয়ে দাঁড়ান কাই হাভার্টজ। ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে জোড়া গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। স্কোর লাইন হয়ে যায় ৩-৩। রোমাঞ্চ ঠাসা ম্যাচটি তাই সমতায় রেখেই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০