৬.৫ ওভারেই ওয়ানডে জিতে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড

আজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে উইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এটি টানা দ্বাদশ জয়। এদিকে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ বল ব্যবধানে জয়ের তালিকায় এটি সপ্তম স্থানে। নতুন আরেকটি মাইলফলকেরও উচ্চতায় উঠেছে অজিরা। এই ম্যাচ দিয়ে ১০০০তম ওয়ানডে খেলেছে তারা। ১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি মেলবোর্নে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিল। সেই ম্যাচটিতে অজিদের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড।

৮৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জ্যাক ফ্রাসের-ম্যাকগার্ক ও জশ ইংলিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬.৫ ওভারে ৮৭ রান করে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। যদিও ২টি উইকেট হারায় তারা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হলো উইন্ডিজ। আর দুই ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরাও হন বার্টলেট। দলের হয়ে ম্যাকগার্ক মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায় ২২৭.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ৪১ রান করে যান।

ইংলিস অবশ্য দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ১৬ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২১৮.৭৫। ইংলিসের সঙ্গে ১ চারে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভেন স্মিথ। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে আউট হন অ্যারোন হার্ডি। ২ রান করেন তিনি। এর আগে নিজেদের ১০০০তম ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওভারে কিওর্ন ওটলিকে এলবিডব্লু করে অজিদের প্রথম উইকেট এনে দেন এক ম্যাচের বিশ্রাম কাটিয়ে ফেরা পেসার জেভিয়ার বার্টলেট।

১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানো উইন্ডিজকে এরপর ৩৮ রানে নিয়ে যায় অ্যালিক অ্যাথানেজ ও কিসি কার্টির দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ১১তম ওভারে মাত্রই দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলা পেসার ল্যান্স মরিস কার্টিকে ফেরাতেই ধসের শুরু। এরপর দেখতে না দেখতেই আর ১৩ ওভারের মধ্যে অলআউট ক্যারিবিয়ানরা। ৭১ থেকে ৮৬ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় দলটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলা আরেক পেসার বার্টলেট। প্রথম ওয়ানডেতেও ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মরিস ও লেগ স্পিনার জাম্পা।