৭৪৩ রানের ম্যাচ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা

0
29

স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়ানডে ম্যাচ। দুই ইনিংসে মিলিয়ে উইকেট ১০টি। বল ৬০০টি। আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করলো ৩শ৭১ রান। আর পরে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা চার উইকেট হাতে রেখে অনায়েসেই অসীদের সংগ্রহকে চেঞ্জ করে ফেললো।

অস্ট্রেলিয়ার বড় টার্গেটকে পাত্তাই দিলো না প্রোটিয়ারা। কিলার মিলার রয়েছেন সেখানে কোন চিন্তাই করেনি দলটি। বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যানের ভয়ঙ্কর ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার বল হাতে রেখে ও চার উইকেটের জয় পায় প্রোটিয়ারা। সেই সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া।

ডারবানের কিংসমেডে এদিন দু’দলের মোট রান উঠলো ৭৪৩। আর ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড রান তাড়া করে জয়। এর আগের রেকর্ডটিও এই অজিদের বিপক্ষে দিক্ষণ আফ্রিকার। যেটি ২০০৬ সালে জোহার্নেসবার্গে ৪৩৪ রান তাড়া করে জিতেছিল সে সময়ের গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্ব দলটি।

টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করেন সফরকারী দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। তারা দু’জনে মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ১১০ রান তোলেন। ফিঞ্চু ৩৪ বলে ৫৩ রানে আউট হন। তবে অজি ওপেনার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১১৭ রান করেন ওয়ার্নার। তিনি ১০৭ বলে ১৩ চার ও দুই ছক্কায় তার ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।

অন্যপাশে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ১০৭ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে ১০৮ রান করে আউট হন তিনি। এই দুই সেঞ্চুরিতে দলটি শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ৩৭১ রান করেন। তবে ম্যাচ সেরা মিলারই এদিন সব আলো কেড়ে নেন।

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ডেল স্টেইন ও ইমরান তাহির দুটি করে উইকেট তুলে নেন।

৩৭২ রানের জয়ের লক্ষে খেলতে নেমে দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালোই করে স্বাগতিকরা। তারা দু’জনে মিলে ৬৬ রান করেন। আমলা ৪৫ করে আউট হলেও ৭০ রান করেন ডি কক। মাঝে অন্য কোনো ব্যাটসম্যান বড় স্কোর না করতে পারলে ম্যাচের হাল ধরেন ডেভিড মিলার। পরে সফরকারী বোলারদের তুলোধুনো করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এদিন তিনি ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করেন। যা প্রোটিয়া ইতিহাসে ষষ্ঠ দ্রুত সেঞ্চুরি। এর আগের পাঁচটি দ্রুত সেঞ্চুরি অবশ্য এই সিরিজে ইনজুরির কারণে খেলতে না পারা এবি ডি ভিলিয়ার্সের অধীনে।

কিলার খ্যাত মিলার শেষ পর্যন্ত ৭৯ বলে ১০ চার ও ছয় ছক্কায় ১১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।

মিলারের সঙ্গে এদিন যোগ্য পার্টনারশিপ গড়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন মাত্রই চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা ফাস্ট বোলার অ্যান্ডিল পেহলুকওয়াও। তিনি শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। অজি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পান জন হ্যাস্টিংস।

৯ অক্টোবর পোর্ট এলিজাবেথে দু’দলের চতুর্থ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here