স্পোর্টস ডেস্কঃ নামিবিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার (১২ জুন) নামিবিয়ার বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত হয়েছে অজিদের। অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ড স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে জিতেছে মিচেল মার্শের দল। নামিবিয়ার ৭২ রান মাত্র ৫.৪ ওভারেই পেরিয়ে যায় তারা। তখনও শেষ হয়নি পাওয়ার প্লে। ইনিংসে অক্ষত ৮৬টি বৈধ ডেলিভারি!
৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার বোলারদের বেদম পিটিয়ে মাত্র ৩৪ (৫.৪ ওভার) বলে ৯ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড ও অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ৩ ম্যাচের ৩টিতেই জিতে বি-গ্রুপ থেকে সবার আগে সেরা আট একরকম নিশ্চিত করে ফেলেছে অজিরা। এদিন ৮৬ বল রেখে হাতে রেখে অস্ট্রেলিয়ার জয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম জয়। এর আগে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে ৯০ বল হাতে রেখে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেটিও ছিল ৯ উইকেটের জয়।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্সের তোপের মুখে মাত্র ২১ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারায় নামিবিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন অধিনায়ক গারহাস ইরাসমাস। আর ১০ রান করেন মাইকেল ফন লিনজেন। বাকিদের কেউ আর দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। ১৭ ওভারে ৭২ রানে গুটিয়ে যায় আফ্রিকার দেশটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র ১২ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন অ্যাডাম জাম্পা। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান হ্যাজলউড ও স্টয়নিস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ বলে ২০ রান করে দিয়ে যান ওয়ার্নার। দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট হেড আর মার্শের মারকুটে জুটিতে (২৪ বলে ৫৩ রান) জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। হেড ১৭ বলে ৩৪ রানে আর মার্শ অপরাজিত ছিলেন ৯ বলে ১৮ রান করে। নামিবিয়ার হয়ে ওয়ার্নারের উইকেটটি নেন ডেভিড ভিজে।
এসএনপিস্পাের্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post