নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ার উচ্ছ্বাসে ভাসছে বাংলাদেশ দল। আর সেই উচ্ছ্বাস এনে দেবার নায়ক এবাদত হোসেন। টাইগারদের এই পেসারের আগুনে বোলিংয়েই কিউইদেরকে তাদেরই ঘরের মাঠে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। অথচ সেই এবাদতই গেল কয়েক টেস্ট, এমনকি ম্যাচের প্রথম ইনিংসেরও নির্বিকার ছিলেন।
যা নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছিল। তবে এবাদত যেনো অপেক্ষা করছিলেন সব সমালোচনার জবাব দেওয়ার। সুযোগটাও পেলেন বড় মঞ্চে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষেই করলেন আগুনে বোলিং। দ্বিতীয় ইনিংসে তার তা পেসেই কুপোকাত হয় ব্ল্যাকক্যাপসরা।
দুই ইনিংস মিলিয়ে এবাদত ৩৯ ওভার বল করেছেন। ১২১ রান খরচায় শিকার করেছেন ৭টি উইকেট। ৯ ওভারে দেননি কোনো রান। তার মধ্যে ৬টি উইকেটই এসেছে দ্বিতীয় ইনিংসে। ঐ ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৬ মেডেনে ৪৬ রান খরচায় শিকার করেন ৬ উইকেট। এর আগে প্রথম ইনিংসে ১৮ ওভার বল করে ৭৫ রানে শিকার করেন ১টি উইকেট।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে যে বোলিং করেছেন, সেটিই ছিল স্মরণীয় অধ্যায়। নিজের ক্যারিয়ার সেরা ফিগার তো বটেই, সঙ্গে গড়েছেন নতুন রেকর্ডও। দীর্ঘ ৯ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন এবাদত। ৪৭ টেস্ট পর বাংলাদেশের কোনো পেসার হিসেবে ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ এই ফরম্যাটে ৫ উইকেট শিকার করলেন তিনি।
এর বাইরে তার ৪৬ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার, দেশের বাইরে বাংলাদেশি কোনো পেসারের সেরা বোলিং ফিগার। আর দেশের মাঠ কিংবা বিদেশের মাঠ সব মিলিয়ে পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি।
আরেকটি বিষয়, যেটা হয়তো রেকর্ডের খাতায় থাকবে কিন্তু শুনলেই তৃপ্তি দেবে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীর। সেটা হলো, নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে বাংলাদেশি পেসার এমন দুর্দান্ত বোলিং ও দুর্দান্ত সব স্পেল, টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্ট-নেইল ওয়াগনার-কাইল জেমিইসনদেরর মতো বিশ্ব মানের পেস অ্যাটাককে ছাপিয়ে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন এবাদত।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা