নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই চোটের কারণে। নেই অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল-লিটন দাস-এবাদত হোসেনও। অপেক্ষাকৃত তরুণদের নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। দলে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে আছেন মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হক সৌরভ। তারুণ্য নির্ভর অনভিজ্ঞ দলকে নেতৃত্ব দিবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ঘরের মাঠে ১০ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের অক্টোবরে দেশের মাটিতে শেষবার কিউইদের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। সেবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম আর ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে হওয়া দুটি টেস্টই ড্র হয়েছিল। দু’দলের সবশেষ টেস্টে জয় বাংলাদেশের। ২০২২ সালের শুরুতে তাসমান সাগরপাড়ে ইতিহাস রচনা করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। মাউন্ট মঙ্গুনাইতে ইতিহাসগড়া এক জয় পেয়েছিলেন মুমিনুল হক-এবাদত হোসেনরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট। কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগের দিন বাংলাদেশ দলের ওপর পূর্ণ আস্থার কথা জানালেন অধিনায়ক শান্ত। কিউইদের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন স্বাগতিকরা। শান্ত বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। তবে আমাদের যে দল, যে কম্বিনেশন আছে, আমি আশাবাদী, এই দুই ম্যাচ খুব ভালো করব আমরা। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে ভালো করার খুব সম্ভাবনা আছে। সবাই ম্যাচ দুটি জেতার পরিকল্পনা করছে। আমরা বিশ্বাস করি জিততে পারি, জেতার জন্যই খেলব। সবার মধ্যে ওই বিশ্বাস আছে।’
শান্ত আরও বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। তবে আমাদের যে দল, যে কম্বিনেশন আছে, আমি আশাবাদী, এই দুই ম্যাচ খুব ভালো করব আমরা। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে ভালো করার খুব সম্ভাবনা আছে। সবাই ম্যাচ দুটি জেতার পরিকল্পনা করছে। আমরা বিশ্বাস করি জিততে পারি, জেতার জন্যই খেলব। সবার মধ্যে ওই বিশ্বাস আছে।’
এদিকে কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি বলছিলেন, ‘৪ পয়েন্ট নিয়ে যাওয়া সহজ হবে না। বাংলাদেশ ভালো দল। বিশেষ করে এই কন্ডিশনে। এই টেস্ট সিরিজে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। হ্যাঁ উইকেট দেখলাম, এখানে তো বেশি টেস্ট খেলা হয়নি। তবে ভালো উইকেটের আশা করছি। পাকিস্তানে এ বছরের শুরুতে খেলেছি আমরা, ছেলেদের এমন উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। নিউজিল্যান্ডে পেস বড় ভূমিকা রাখে। এখানে হয়ত স্পিনের ভূমিকাই বেশি থাকবে। আমাদের মানসম্পন্ন স্পিনার আছে যাদের টেস্টে ভালো রেকর্ড আছে। উইকেট থেকে সকালে বোলাররা সুবিধা পেতে পারে। সব মিলিয়ে উইকেট ভালোই মনে হচ্ছে। এখানে ভিন্ন শক্তি কাজে লাগাতে হবে। নিউজিল্যান্ডে স্পিন বড় ভূমিকা রাখবে না, তবে এখানে স্পিন সহায়কই হতে পারে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post