স্পোর্টস ডেস্কঃ আর কটা দিন গেলেই অপরাজিত থাকার এক বছর হয়ে যেত বেয়ার লেভারকুসেনের। গত বছরের ২৮ মে হারের পর টানা ৫১ ম্যাচ ধরে অপরাজিত দলটি। জাবি আলোনসোর শিষ্যরা অবশেষে থামল, সেটাও ইউরোপা লিগের ফাইনালে। উজ্জীবিত আতালান্তা প্রথমার্ধেই করল জোড়া গোল, যে ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারল না লেভারকুসেন। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে নায়ক হয়ে উঠলেন অ্যাডেমোলা লোকমান। প্রথমবারের মতো ইউরোপা লিগ জিতল ইতালিয়ান ক্লাবটি।
ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়ামে বুধবার রাতের ফাইনালে ৩-০ গোলে জিতে দীর্ঘ ছয় দশকের শিরোপা খরা কাটিয়েছে আতালান্তা। ম্যাচজুড়ে একক নৈপুণ্যের দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে হ্যাটট্রিক করেছেন আতালান্তার নাইজেরিয়ান উইঙ্গার লোকমান। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে তোরিনোকে হারিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আতালান্তা। ৬১ বছর পর মিলল দ্বিতীয়র স্বাদ। তাও উড়তে থাকা লেভারকুসেনকে হারিয়ে। বুধবার রাতের ম্যাচে রক্ষণে বারবার ভুল করতে থাকে লেভারকুসেন। আক্রমণেও তারা ছিল সাদামাটা। তাই বল দখলে এগিয়ে থাকলেও সত্যিকার অর্থে প্রতিপক্ষকে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি দলটি।
১২ মিনিটেই জালের দেখা পেয়ে যায় আতালান্তা। ডানপ্রান্ত থেকে আসা আক্রমণ ঠেকাতে পারেনি লেভারকুসেন। জাপাকোস্টা বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের ভেতর। মুহূর্তেই দৌড়ে গিয়ে তাতে শট নেন লোকমান। ততক্ষণে আটালান্টা শিবিরে উদ্যাপন শুরু হয়ে যায়। ২৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটিও করেন লোকমান। মধ্যভাগের একটু সামনে বল পেয়ে লেভারকুসেনের কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দৃষ্টিনন্দন এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। তার নেয়া আড়াআড়ি শট ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি মাতেজ কোভার। লিড তখন ২-০ গোলের। সেই লিড ধরে রেখেই বিরতিতে যায় দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ধার বাড়ায় লেভারকুসেন। এ সময় বলে আধিপত্য ধরে রেখে খেলতে থাকে তারা, শাণায় কয়েকটি আক্রমণও। তাদের পরিবর্তে উল্টো গোল করে বসে আতালান্তা। ৭৫ মিনিটে কোভারের ওপর দিয়ে নেয়া শট চোখের পলকেই জাল খুঁজে নেয়, হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় লোকমানের। এবারের মৌসুমে ইউরোপা লিগের ১১ ম্যাচে এটা তার পঞ্চম গোল, ১ গোলে অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে আতালান্তার হয়ে এ মৌসুমে ৪৩ ম্যাচে ১৫ গোল ও ৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন ২৬ বছর বয়সী এ ফুটবলার।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post