নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা টেস্টের চতুর্থদিনের সকালেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। অহেতুক শটে উইকেট বিলিয়ে দিলেন অভিজ্ঞ মুমিনুল হক। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার অ্যাজাজ পাটেলের নিখুঁত টার্ন করা ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি। বল প্যাডে লাগতেই আঙুল তুলতে সময় নেননি আম্পায়ার।
পরিষ্কার আউট বোঝা যাওয়ায় রিভিউও নেননি মুমিনুল। ২ চারে ১০ রান করেন তিনি। এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে ৮ রানের লিড নিয়ে নিউজিল্যান্ড থামে ১৮০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে জবাব দিতে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশও। আজ চতুর্থ দিনে সকালে জোড়া উইকেট হারিয়েছে তারা। মুমিনুলের পর ফিরেছেন মুশফিকুর রহিমও।
তৃতীয় দিন শেষে টাইগারদের লিড ছিল ৩০ রানের। এর আগে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলীয় ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মাহমুুদুল হাসান জয় (২ বলে ২)। এরপর ৩৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক শান্ত। ২৪ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি।
শনিবার চতুর্থদিনের শুরুতে মুমিনুল ফিরেন ১০ রান করে। এরপর মুশফিক ফিরেন ৯ রানে। মিচেল স্যান্টনারের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। প্রথম বলে চার মেরে বাঁহাতি স্পিনারকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। পরের বল একটুর জন্য কানা নেয়নি। পরে আর বাঁচেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে স্লিপে। ১২ বলে এক চারে ৯ রান করেন মুশফিক।
এদিকে মুশফিকের পর ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন শাহাদাত হোসেন দিপুও। স্যান্টনারের মিডল-লেগ স্টাম্পে পিচ করে লাইন ধরে রাখা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন শাহাদাত। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করে পেছনের পায়ে। জোরাল আবেদনে সাড়া দেব আম্পায়ার।
অন্য প্রান্তে থাকা জাকির হাসানের পরামর্শে রিভিউ নেন শাহাদাত। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত করত লেগ স্টাম্পে। তাই বহাল থাকে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ৪ রান করে ফেরেন শাহাদাত। এরপর ফিরেন মেহেদি হাসান মিরাজও। পাটেলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। টিকতে পারেন নি নুরুল হাসান সোহানও। দৃষ্টিকটু ব্যাটিংয়ের দৃষ্টান্ত দেখিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন তিনি।
২৫তম ওভারে পাটেলের তৃতীয় বলে রিভিউ নিয়ে বাঁচার পরের বলেই বাজে একটি শটে এলবিডব্লিউ হন সোহান। পাটেলের ওভারের তৃতীয় বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি। প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন সোহান। রিপ্লেতে দেখা যায়, অতিরিক্ত টার্নের কারণে অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যেত ওই বল। তাই বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। বেঁচে যান সোহান।
ঠিক পরের বলটিতে হাঁটু গেড়ে স্কুপ করার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন সোহান। এবারও জোরাল আবেদনে সাড়া দিতে সময় নেননি আম্পায়ার। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় সোহানকে। তাতে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ফিফটি তোলে নেন জাকির। ৭৯ বলে ৬ চারে পঞ্চাশে পৌঁছান এই বাঁহাতি ওপেনার।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post