স্পোর্টস ডেস্কঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। শনিবার রাতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরে বসেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল। মাত্র ১৯১ রান তাড়া করতে নেমে টাইগারদের ব্যাটিং ইউনিট থেমে গেছে ১০৯ রানে, যা এই ফরম্যাটে আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান।
১৯১ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে ২৮.৩ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। রশিদ খানের লেগ স্পিন বা গুগলির কোনো জবাবই যেন জানেন না মিরাজ-নুরুলরা। বেশ ছোট লক্ষ্য পেলেও রশিদের ঘূর্ণিতে খাবি খেয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে গেল মিরাজের দল। আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৮১ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে গেল আফগানিস্তান।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় তারা। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে বশির আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। স্কোরবোর্ডে ২৫ রান যোগ হতেই নাজমুল হোসেন শান্তকেও হারায় বাংলাদেশ। ৯ বলে ৭ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। এদিনও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সাইফ হাসান। ২৩ বলে ২২ রান করে ওমরজাইয়ের শিকার হন তিনি। এরপর অধিনায়ক মিরাজ, জাকের কিংবা নুরুল হাসান সোহান- কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। দলীয় ৯৮ থেকে ১০০ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মিরাজ ফেরেন ৭ বলে ৪ রান করে। জাকের আলী ৪৩ বলে ১৮ রান করে ফেরেন সহজ ক্যাচ দিয়ে। নুরুল হাসান সোহান ফেরেন রশিদের বলে বোল্ড হয়ে। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ১৫ রান। তানজিম হাসান সাকিব তানভীর ইসলাম ফেরেন কোনো রান না করেই। দুজনকেই এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান। ১৫ বলে ৫ রান করা রিশাদকেও ফেরান রশিদ খান। আর তাতেই ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আফগানদের হয়ে রশিদ খান নেন ৫ উইকেট। ওয়ানডেতে এটি তার ষষ্ঠ ৫ উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি ৫ উইকেট আছে শুধু মুত্তিয়া মুরালিধরন (১০) ও শহিদ আফ্রিদির (৯)। এছাড়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৩টি ও নাঙ্গেলিয়া খারোতে নেন ১ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় আফগানিস্তান। পঞ্চম ওভারে সাকিবের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আগের ম্যাচে দলকে জেতানোর নায়ক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পাওয়ার প্লের মধ্যে একই পরিণতি হয় সেদিকউল্লাহ আতালের। আফগানদের বিপদ বাড়িয়ে ১৫তম ওভারে পায়ের চোটে মাঠ ছেড়ে যান রহমত শাহ। পরে তাদের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে বোল্ড করে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
মাত্র ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হাল ধরার চেষ্টা করেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। কিন্তু বেশি বড় হয়নি তাদের জুটি। সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করা নবী। এরপর দলকে একাই টানতে থাকেন ইব্রাহিম। তবে তাকে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে দেননি মিরাজ। ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন ১৪০ বলে ৯৫ রান করা আফগান ওপেনার। ৩ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারতে পারেন তিনি। শেষ দিকে ১৮ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন এএম গাজানফার। ৯ উইকেট পতনের পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে এক বল খেলে অস্বস্তিতে ভোগায় আর চালিয়ে নিতে পারেননি। ফলে ৯ উইকেটেই শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/000