নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দারুণ এক টুর্নামেন্ট কাটিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফে নাম লেখাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মঙ্গলবার লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে চ্যালেঞ্জার্সরা। আর এই জয়েই সেরা চারে থাকা নিশ্চিত করল দলটি।
চট্টগ্রামের এই জয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেরও সেরা চারে থাকা নিশ্চিত হয়ে গেছে। অপরদিকে এই হারে প্লে-অফে যাওয়ার সমীকরণ একেবারে কঠিন হয়ে গেল খুলনা টাইগার্সের জন্য। জয়ের পাশাপাশি অন্যান্য সমীকরণও মাথায় রাখতে হবে দলটিকে।
সাগরিকায় চট্টগ্রামের দেওয়া ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শুরুতে পারভেজ হোসেন ইমনের বিদায়ে হোঁচট খায় খুলনা টাইগার্স। এরপর এনামুল হক বিজয় ও শাই হোপ মিলে জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদের ৫৪ রানের জুটি ভাঙার পরই বিপর্যয় শুরু হয় খুলনার।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শেষ পর্যন্ত আর তাই বেশি দূর যেতে পারেনি খুলনা। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১২০ রানে অলআউট হয়ে পড়ে টাইগার্সরা। দলকে দেখতে হয় বড় হার। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন এনামুল হক বিজয়। ২১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংস খেলেন শাই হোপ।
চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় একাই ৩ উইকেট শিকার করেন শুভাগত হোম। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন বিলাল খান।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের বিশাল পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। স্বাগতিক দলের হয়ে একাই এর মধ্যে ১১৬ রান করেন তামিম। ৬৫ বলের ইনিংসটিতে সমান ৮টি করে চার ও ছয় হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটার।
খুলনার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ বলে ৭টি করে চার ও ছয়ের মারে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূরণ করেন তানজিদ তামিম। চলতি বিপিএলে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। তবে তাওহীদ হৃদয় ও উইল জ্যাকসকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আর বিপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তামিম ইকবালের ১৪১ ও সাব্বির রহমানের ১২২ রানের ইনিংসের পর বিপিএলের ইতিহাসে দেশি ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তবে চট্টগ্রামের মাঠে বিপিএল ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
তামিম তৃতীয় উইকেটে ৬১ বলে ১১০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন টম ব্রুসের সাথে। এই জুটিই চট্টগ্রামকে জয়ের জন্য যথেষ্ট রান এনে দিতে সহায়তা করে। ২৩ বলে ২টি করে চার ও ছয়ের মারে ৩৬ রানের অপরাজিত ক্যামিও খেলেন ব্রুস। এর আগে আমিরাত ব্যাটার মোহাম্মদ ওয়াসিম প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মাত্র ১ রানেই আউট হন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। টপ অর্ডারে নামা সৈকত আলি ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
খুলনার হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন ওয়েন পারনেল, নাসুম আহমেদ, জেসন হোল্ডার ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post