স্পোর্টস ডেস্ক:: বিশ্বকাপ ফুটবলে ‘রেকর্ড’ গড়লেন গাভি। স্পেনের এই তরুণ তারকা মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে পেলে গেলেন গোলের দেখা। স্পেন ফুটবলের ইতিহাসে ১৮ বছর বয়সে বড় টুর্নামেন্টে আর গোল করার রেকর্ডও নেই অন্য কারোর।
কাতার বিশ্বকাপে কোস্টারিকার জালে বল পাঠিয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার ‘রেকর্ড’ করেন গাভি। গাভি-টরেসদের জ্বলে উঠার দিনে প্রতিপক্ষ কোস্টারিকাকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে স্পেন। হারিয়েছে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে। তরুণ গাভি ক্যারিয়ারের শুরুতেই আলো ছড়াচ্ছেন। ক্লাব জার্সিতে আলো ছড়িয়ে এবার তিনি বিশ্ব মঞ্চে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন গাভি।
আল থুমামায় স্পেনের হয়ে পঞ্চম গোলটি করে গাভি। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে তার গোলেই ৫-০ ব্যবধান করে নেয় স্প্যানিশরা। ম্যাচের বাকীটা সময়ে আরো দুই গোল দেয় দলটি। নম্বর জার্সিতে গাভি শুরু থেকেই ছিলেন দলের একাদশে। কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। পুরোটা সময়ই খেলেছেন তিনি।
কোস্টারিকার জালে স্পেন সাতবার বল পাঠালেও হজম করতে হয়নি একটি গোলও। ছন্নছাড়া কোস্টারিকা নিজেদের রক্ষণই সামলাতে পারেনি। আক্রমণে উঠাতো দূরের কথা। প্রথমার্ধের তিন গোলের সাথে দ্বিতীয়ার্ধের চার গোল, সব মিলিয়ে ৭-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে স্প্যানিশরা।
পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করেছে স্পেন। ৮১ শতাংশ সময়ই বল তাদের দখলে ছিলো। ১৬ শটের সাতটিতেই গোল পেয়েছে দলটি। কোস্টারিকা ব্রাজিলের জাল মুখে একটি শটও নিতে পারেনি।
স্প্যানিশ ফুটবলের নান্দনিকতা প্রদর্শন করে কোস্টারিকাকে কোণঠাসা করে রাখে স্পেন। প্রথমার্ধেই বড় লিড নিয়ে ফেলেছে দলটি। তিন তারকার তিন গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্প্যানিশরা। ম্যাচের ত্রিশ মিনিটের মধ্যেই স্পিন তিনবার বল পাঠিয়ে দেয় কোস্টারিকার জালে।
প্রথমার্ধের তিন গোলের একটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। কোস্টারিকা ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বিরতিতে গেছে। ১৯৩০ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম স্পেন বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রথমার্ধেই তিন গোল আদায় করে নিয়েছে। ওলমো, অ্যাসেনসিওর ও টরেসরা শুরুতেই এগিয়ে দেন দলকে।
ম্যাচের ১১তম মিনিটেই ওলমো এগিয়ে দেন স্পেনকে। গাভির পাস থেকে পেয়ে কোস্টারিকার জালে বল পাঠিয়ে দেন তিনি। ১-০ গোলে লিড নেয় স্প্যানিশরা। লিড বড় করতে বেশি সময় নেয় দলটি। ম্যাচের কুড়ি মিনিটেই মার্কো আসেনসিওর গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় গাভিরা।
ম্যাচের ২১তম মিনিটে বাম দিকে থেকে আসা আলবার ক্রস থেকে পাওয়া বল কোস্টারিকার গোলরক্ষক নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে বলে পাঠান মার্কো অ্যাসেনসিওর। লিড নেওয়ার দশ মিনিট পরেই স্পেন এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ম্যাচে দশ মিনিট পরপর তিন গোল পেয়ে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
৩০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফিরান টরেস স্পেনকে এগিয়ে দেন ৩-০ গোলে। দুয়ার্তে বিপদজনক সীমানায় আলবাকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি দেন। স্পক কিক থেকে বিরতির আগেই টরেস দলকে এগিয়ে দেন বড় ব্যবধানে। মাঠে যেনো অসহায় হয়ে পড়ছিলেন কোস্টারিকার ফুটবলাররা।
বিরতির পর খেলা শুরু হলে স্পেন আরো দুর্দান্ত হয়ে উঠে। টরেসের জোড়া গোলে ম্যাচের ৫৪তম মিনিটেই ব্যবধান ৪-০ করে স্পেন। মিনিট দশেক পরেই বিশ্বকাপে গোলের দেখা পান স্পেনের তরুণ তারকা গাভি। ৭৪তম মিনিটেই স্পেনকে তিনি এগিয়ে দেন ৫-০ গোলে।
বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া কোস্টারিকা খেই হারিয়ে ফেলে। ভেঙে পড়ে তাদের ডিফেন্স লাইনও। সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগায় টরেসরা। ম্যাচের ৯০তম মিনিটে কার্লোস সোলার ব্যবধান করে ফেলেন ৬-০। ম্যাচের যোগ করা সময়ে আলব্রো মোর্তা কোস্টারিকার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। ৭-০ গোলের বড় হার নিয়ে তাই মাঠ ছাড়তে হয় কোস্টারিকাকে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০0